চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে গুলিতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন মাসুদ কায়সার (৩২) ও মোহাম্মদ আনিস (৩৮)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার সময় অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কায়সার ও আনিসের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কুয়াইশ এলাকায়। দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং হাটহাজারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুস গণি চৌধুরীর অনুসারী।
চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, অক্সিজেন কুয়াইশ সড়কে গুলিতে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার কারণ বের করার পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আসামিরা গ্রেফতার হলেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
সিএমপির বায়েজিদ জোনের এসি বেলায়েত হোসেন বলেন, দুই হত্যার ঘটনায় আমরা কিছু নাম পেয়েছি সে সূত্র ধরে আমরা কাজ করছি। তবে পরিবার থেকে মামলা করার কথা রয়েছে, তারা এসে যে কোনো সময়ে মামলা করবে। দুইজন হত্যার পিছনে পূর্ব বিরোধ রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে বিরোধটা কি রাজনৈতিক না অন্য বিষয়ক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি।
পুলিশ সূত্র জানায়, আনিস ও কায়সার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তারা সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দুর্বৃত্তরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় মাসুম কায়সার ঘটিনাস্থলে নিহত হলেও মাসুদ আনিস কিছুদূর দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে৷ পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে সেখানে তার মৃত্যু। উভয়ের পরিবার এ ঘটনার জন্য পূর্ব শত্রুতার জেরে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিবিরের ক্যাডার সাজ্জাদ ও সরোয়ারকেও দায়ী করা হচ্ছে এ ঘটনায়।
এদিকে এ ঘনায় দুই মামলার মধ্যে মাসুদ কায়সারের ভাই আরিফ একটি মামলা দায়ের করেছে। সেখানে চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন আরমান বাচ্চু, জাহাঙ্গীর, সাজ্জাদ হোসেন ও হাসান।
বিডি প্রতিদিন/এএ