বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমির আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক এবং আদর্শবাদী ইসলামিক দল। মানুষের অধিকার, ইনসাফ এবং মানবিক সেবার মধ্য দিয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই লক্ষ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেক শীর্ষ নেতৃত্বকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা নিজেদেরই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান হতে দেখেছে এবং বাংলার মাটি থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এর বিপরীতে জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রতিটি মানুষের আস্থা এবং নিরাপত্তার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের আনোয়ারার এস এম কনভেনশন হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাইলধর ইউনিয়ন শাখার কর্মী ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি নজরুল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে দারসুল কুরআন পেশ করেন আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা মাস্টার মনসুর আলী, সদরঘাট থানা জামায়াতের আমির আব্দুল গফুর, আনোয়ারা জামায়াতের নায়েবে আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি, সেক্রেটারি আবুল হাসান খোকা, জামায়াত নেতা ডা. ইলিয়াস, জামায়াত নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, মহসিন কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, আনোয়ারা শহর শাখার সভাপতি মোরশেদ ইসলাম প্রমুখ।
ইসলামিক দলগুলোর ঐক্যের বিষয়ে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, কওমী, আলিয়া শিক্ষাব্যবস্থার সব ইসলামিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সংখ্যালঘুদের অবহেলা করা যাবে না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, তাই কোনো ভেদাভেদ বা বিবাদ সৃষ্টি করা যাবে না। বর্তমান প্রজন্ম আগামী দিনে বৈষম্যহীন, হানাহানি, গুম-খুনহীন সমাজ দেখতে চায়। আগামীর রাজনীতি হবে প্রতিযোগিতামূলক এবং মানুষের সেবার জন্য নিবেদিত। কেউ যদি স্বৈরাচার তৈরি করতে চায়, তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল