৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ১৫:৫৫

শিশু সাঈদ হত্যায় তিনজনের ডাবল ফাঁসি

অনলাইন ডেস্ক

শিশু সাঈদ হত্যায় তিনজনের ডাবল ফাঁসি

সিলেটে স্কুল ছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি ও হত্যার দায়ে তিনজনের ডাবল ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেল পৌণে ৪টায় সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন। 

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুল, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওরফে আব্দুর রাকিব ও র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা। এছাড়া মামলার অপর আসামী জেলা ওলামালীগের প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাছুমকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডিতদের মামলার ভিন্ন একটি ধারায় এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদেরকের আরো এক বছর কারদণ্ড ভোগ করতে হবে।

ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুল মালেক জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৮ ধারায় অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আবু সাঈদকে হত্যার দায়ে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পাশাপাশি একলাখ টাকা জরিমানা করেন। আসামিরা সাত দিনের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে রায়ের আদেশে বলা হয়েছে। 

গত ১৭ নভেম্বর এই আদালতে পুলিশ সদস্যসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৯ নভেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ নভেম্বর। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের জবানবন্দি শুনেছেন আদালত। 

এদিকে, দ্রুততম সময়ে মাত্র ৮ কার্যদিবসে এ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ায় এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাঈদের বাবা আবদুল মতিন। তিনি বলেন, রায়ে আমি সন্তুষ্ট,এখন দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত রায় কার্যকর হলেই সাঈদের আত্মা শান্তি পাবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ আশরাফুল আলম জানান, মামলায় দুর্বল সাক্ষীসহ বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। রায় পর্যালোচনা করে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। 

চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার তিনদিন পর ১৪ মার্চ রাতে নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকার একটি বাসা থেকে সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা আব্দুল মতিন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর