৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২০:৪৯

সিলেটে আ.লীগের বিদ্রোহীদের জয়জয়কার, বিএনপির ভরাডুুবি

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট:

সিলেটে আ.লীগের বিদ্রোহীদের জয়জয়কার, বিএনপির ভরাডুুবি

সিলেটে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের হতাশায় ডুবিয়ে বিজয়ের বরমাল্য পরেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। সিলেটের তিনটি পৌরসভার মধ্যে দুটি পৌরসভাতেই বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তবে একটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়ে দলটির মান রক্ষা করেছেন। অন্যদিকে তিন পৌরসভাতেই ভরাডুবি ঘটেছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও কানাইঘাট পৌরসভায় দল সমর্থিত প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করা আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে জকিগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান জয়ের মুখ দেখেছেন।

পৌর নির্বাচনের ঢামাঢোল শুরুর পর থেকেই সিলেটের তিন পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে তোড়জোর শুরু করে আওয়ামী লীগ। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত টিম রাত-দিন চষে বেড়ায় তিন পৌরসভা। গণসংযোগ, পথসভা, প্রচার-প্রচারণায় কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু দলীয় প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনে লড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরাই শেষ পর্যন্ত চমক দেখালেন। তিন পৌরসভার দুটিতেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তারা। গোলাপগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী সিরাজুল জব্বার চৌধুরী এবং কানাইঘাটে আরেক বিদ্রোহী নিজাম উদ্দিন আল মিজান বিজয়ী হয়েছেন। ভোটের সংখ্যায় তাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থীরা। আর জকিগঞ্জে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন ফুলতলী পীরের সংগঠন আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র প্রার্থী হিফজুর রহমান।

এদিকে সিলেটের তিন পৌরসভাতেই জয় পেতে মরিয়া ছিল বিএনপি। সে লক্ষ্যে মনিটরিং সেল গঠন করে প্রচারণা চালিয়েছেন দলটির নেতারা। কিন্তু অজনপ্রিয় প্রার্থী বাছাই, স্থানীয় কোন্দলসহ বিভিন্ন কারণে দলটির ভরাডুবি ঘটেছে সিলেটে। তিন পৌরসভাতেই শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। যে পৌর নির্বাচনকে ‘তৃণমূলকে জাগিয়ে তোলার সুযোগ’ হিসেবে দেখছিল বিএনপি, সেই পৌর নির্বাচনে ভরাডুবিতে সিলেটে দলটি নতুন করে হতাশায় নিমজ্জিত হবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষক মহল।

বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর