৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১১:৫৫

সেফহোমে আশ্রিতা ধর্ষণ, পুলিশসহ তিনজনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

সেফহোমে আশ্রিতা ধর্ষণ, পুলিশসহ তিনজনের নামে মামলা

রাজশাহীর বায়া সেফহোমে আশ্রিত এক ভিকটিমকে পুলিশের সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, পুঠিয়ার জিউপাড়া এলাকার ওই ভিকটিম ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বায়া সেফহোমে আছে। গত ২০ জানুয়ারি হাজিরা দেওয়ার জন্য তাকে আদালতে নেওয়া হয়। হাজিরা শেষে ভিকটিমকে আদালত পরিদর্শক রুহুল আমিন এবং কনস্টেবল খোরশেদাসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা কনস্টেবলের সহযোগিতায় নগরীর বোলনপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আসামি পুঠিয়ার জিউপাড়া এলাকার জয়নাল ভিকটিমকে দুইবার ধর্ষণ করে। একইভাবে আরও একদিন তাকে ধর্ষণ করা হয়।

২৪ জানুয়ারি সেফহোমের ঊর্ধ্বতনরা ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল চারটার দিকে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে যান। থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন।
অবশেষে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে আদেশ দিয়েছে।
 
তবে অপর একটি সূত্র জানায়, ভিকটিম এবং আসামি জয়নাল স্বামী-স্ত্রী। একটি মামলায় স্ত্রী সেফ কাস্টডিতে আছে। আদালত পুলিশকে হাত করে আসামি জয়নাল স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে। এর জন্য কনস্টেবল মাসুদ রানা এবং কনস্টেবল খোরশেদা সহায়তা করে। দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য কনস্টেবল খোরশেদার বোলনপুর এলাকার বাড়িটি ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের লিখিত বিবরণ পাওয়ার পরে বিষয়টি পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমাজসেবা অধিদফতর, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, আদালত পরিদর্শকে জানানো হয়।

বিডি-প্রতিদিন/০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর