২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:২১

অভিজাত ফ্ল্যাটে এক লাখ ইয়াবাসহ আটক ৪

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

অভিজাত ফ্ল্যাটে এক লাখ ইয়াবাসহ আটক ৪

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি এলাকার সার্সন রোডের একটি অভিজাত ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ইয়াবা ব্যবসা। ফ্ল্যাটের অন্য লোকজনের আড়ালে এসব ব্যবসার গোপন তথ্য বের করেন র‌্যাব-৭ এর  সদস্যরা। 

গতকাল সোমবার গভীর রাতে রাবের বিশেষ অভিযানে এক লাখ ইয়াবা ও শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪ সদস্যকে আটক করেছেন বলে জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অভিযানে র‌্যাব তাদের কাছ থেকে ইয়াবা বিক্রির নগদ তিন লাখ ৪০ হাজার ১৬৭ টাকা উদ্ধার করে এবং মোটর সাইকেল দু’টিও জব্দ ও আটক চারজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়েরে করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আটককৃতরা হলেন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া সওদাগর (৪৯) ও মো.আলমগীর প্রকাশ আলমগীর মেম্বার এবং ইয়াবা বিক্রেতা আনিসুর রহমান (৩৫) ও আরেক ইয়াবা বিক্রেতা আব্দুস শাকুরের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৩০)। তবে আব্দুস শাকুর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সোমবার রাতে নগরীর সার্সন রোডে মাউন্ট হসপিটালের সামনে সন্দেহজনক দু’টি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেয় র‌্যাবের কয়েকজন সদস্য। দুই মোটর সাইকেলে চারজন ছিল। এসময় চাঁন মিয়া, আলমগীর এবং আনিসুর রহমানকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে  র‌্যাবের একটি টিম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এ-ব্লকের তিন নম্বর সড়কে দীপাঞ্জলি ভবনের চতুর্থ তলায় আব্দুস শাকুরের বাসায় অভিযান চালালে শাকুরের স্ত্রীকে দশ হাজার ইয়াবাসহ আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই অভিজাত আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে শাকুর ও তার স্ত্রী ইয়াবা ব্যবসা চালাচ্ছিল।

র‌্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চা‍ঁন মিয়া ও আলমগীর মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম নগরীতে নিয়ে আসতেন। তারপর এসব ইয়াবা আনিসুর রহমান, আব্দুস শাকুরসহ কয়েকজন বিক্রেতার মাধ্যমে খুচরা বিক্রেতা ও  সেবনকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেন। এসব ইয়াবা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়ও পাঠানো হতো। চাঁন মিয়া কক্সবাজারে প্রায় পাঁচ লাখ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলার আসামি। এছাড়া নগরীর চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায়ও ইয়াবাসহ মাদকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। পুরাতন রেলস্টেশনের ভিতরে চলে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় মাদকের আড্ডাও। মাসিক ও প্রতিদিন নেয়া হয় মোটা অংকের টাকাও। অনেকেই নিজেই চুরি করে বা অপরাধ করে অন্যের উপর দোষ ছাপানোর চেষ্টায় থাকেন। এসবের নেপথ্যে জড়িত আছেন স্টেশনের আরএনবির দায়িত্বশীলসহ সিপাহীরাও। মাদকের সাথে রেলের ও বাইরের কারা জড়িত সেই বিষয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টও রয়েছে।

এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মকবুল আহম্মদ বলেন, মাদক বা কোন ধরনের অনিয়মের বিষয়ে আমরা সর্তক আছি। এতে স্ব স্ব বিভাগেও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অনিয়ম রোধে। তারপরও কেউ অপরাধ বা অন্যদের কৌশলে ফাসাঁনোর চেষ্টা করে তাদের বিষয়ে তদন্ত করেই শাস্তির আওতায় আনা হবে। তাছাড়া চলছে প্রতিনিয়ত মনিটরিংও।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর