২০ মার্চ, ২০১৬ ১৯:২৭

শ্লীলতাহানি মামলায় এসআই রতন করাগারে

আদালত প্রতিবেদক:

শ্লীলতাহানি মামলায় এসআই রতন করাগারে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর শ্লীলতাহানি মামলায় রাজধানীর আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমারকে কারগারে পঠিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমদ এ আদেশ দেন। 

এরআগে এ মামলায় রতনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল একই আদালত। পরে বাদীর সঙ্গে ‘আপসে’ গিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে রবিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আসামি রতন। 

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফোরকান মিয় সাংবাদিকদের জানান, আসামি জামিন আবেদনে উল্লেখ করেছে, মামলার বাদীর সঙ্গে আপস হয়ে গেছে। এছাড়া শুনানি চলাকালে বাদী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, আসামির জামিন পেলে তার কোনো আপত্তি নেই। এসময় বিচারক বলেন, মামলার এ পর্যায়ে আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হলো। আসামিকে কারাগারে পাঠানো হোক। 

মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদের কাছে এসআই রতন কুমার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে রিকশা থামিয়ে তাকে নামতে বলেন। এছাড়া ওই ছাত্রীকে একটি দোকানে ঢুকতে বলেন ওই এসআই। দোকানে ঢোকার পর এসআই রতন তার (ছাত্রী) কাছে ২০০ পিস ইয়াবা আছে বলে দাবি করেন। দোকান থেকে সবাইকে বের করে দিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা যাবৎ ওই দোকানে তার ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। তার জ্যাকেট খুলতে বলা হয় এবং নানা ধরনের কটূক্তি করেন। ওই ছাত্রী বলেন, আমি বারবার নারী পুলিশ বা আশপাশের কোনো নারীর সামনে অথবা থানায় নিয়ে তল্লাশি করার অনুরোধ জানালেও সে তা করেনি। এ সময় অশ্লীল কথাবার্তা বলা ছাড়াও তিনি আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন। 

এ ঘটনায় পরদিন আদালতে মামলা করেন ওই ছাত্রী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে বিচারক নির্ধারণ করে দেন। পরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি  ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। বিচার বিভাগীয় ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এসআই রতন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 


বিডি-প্রতিদিন/ ২০ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর