২৮ এপ্রিল, ২০১৬ ২১:৪২

বিচারকের সামনে আসামির মাথা ফাটালো আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

বিচারকের সামনে আসামির মাথা ফাটালো আইনজীবী

চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারকের সামনে আসামি ও বাদিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আসামি শেখ মো. জাফর ইকবাল গুরুতর আহত হন। এ সময় বিচারক বিব্রত হয়ে এজলাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামি শেখ মো. জাফর ইকবাল হালিশহর থানায় যৌতুক দাবির অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১ (গ)/৩ ধারায় স্ত্রী উলফত জাহানের দায়ের করা একটি মামলার আসামি। এ মামলায় তার বাবা শেখ মো. ইছা মিয়া এবং মা আঙ্কুরুজ্জামানও আসামি। তিনজনই এখন জামিনে। হালিশহর থানা পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের নির্দোষ উল্লেখ করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। বাদিপক্ষ ওই প্রতিবেদনের উপর নারাজি আবেদন দাখিল করেছেন। এদিন নারাজি আবেদনের উপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাড. নজরুল ইসলাম সেন্টু বলেন, নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১১ মে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন। বাদিপক্ষের আইনজীবীরা বেরিয়ে যাবার সময় কোর্ট লকআপের পাশে হঠাৎ চেঁচামেচি শুরু হয়। তারপর হাতাহাতি, মারামারি। বিচারক দ্রুত এজলাস থেকে নেমে খাস কামরায় চলে যান।
আসামির আইনজীবী অ্যাড. বেলায়েত হোসেন বলেন, বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীম মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে মো. তারেক, জাফর ইকবাল, রায়হান সালেহীন, রাহিন উদ্দিনসহ ১০-১২ জন আইনজীবী বিচারকের সামনে আসামির উপর হামলা করেছে। এতে আসামি শেখ মো. জাফর ইকবালের মাথা ফেটে যায়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাদির আইনজীবী অ্যাড. জাফর ইকবাল বলেন, নারাজি আবেদনের শুনানির এক পর্যায়ে আইনজীবী রহিমা আক্তার তাজমহল কোর্ট লকআপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আসামি জাফর ইকবাল তাকে লক্ষ্য করে কটুক্তি ও গালাগালি করে। শুনানি শেষে আইনজীবী রায়হান এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে আসামি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতির কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উভয়পক্ষ মৌখিক অভিযোগ করেছে। ঘটনা শুনে আমি নিজেও সেখানে গিয়েছিলাম। আমি তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে একটা সামারি ট্রায়াল করে দেব। এরপর তারা চাইলে পুলিশ বা আদালতে যেতে পারেন।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর