২ মে, ২০১৬ ২০:৫৮

রাবি শিক্ষক হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারীরা চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

রাবি শিক্ষক হত্যা মিশনে অংশগ্রহণকারীরা চিহ্নিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করা গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। হত্যাকারীরা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ধরতে পারলেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা বের হয়ে আসবে বলেও দাবি করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার তমিজউদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, আদর্শিক কারণে মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যরা রাবি শিক্ষক রেজাউল করিমকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আত্মীয়-স্বজনকে পুলিশ ইতিমধ্যে আটক করেছে। পালিয়ে থাকা ব্যক্তিরা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে পুলিশ অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। তবে শিক্ষক রেজাউল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, শিক্ষক হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাবির ইংরেজি ব্যিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামের বাবা আবদুল হাকিম ও ভাই আরিফুল ইসলাম আছে।

তারা পুলিশকে জানিয়েছে, শরিফুলের সঙ্গে পারিবারের সদস্যদের কোন যোগাযোগও নেই। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করা গেলে শিক্ষক হত্যার মোটিভ বেরিয়ে আসবে। তবে গ্রেফতারের স্বার্থে অন্যজনের নাম পরিচয় জানাননি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

রাবি শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামের বাবা ও ভাই ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান, মাদ্রাসা ছাত্র খায়রুল ইসলাম, মসজিদের ইমাম রায়হান আলীকে আটক করে। এদের মধ্যে হাফিজকে চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে মহানগর হাকিম আদালতের পরিদর্শক আবুল হাসেম বলেন, শিক্ষক হত্যায় আটক মাদ্রাসা ছাত্র খায়রুল ইসলাম ও মসজিদের ইমাম রায়হান আলীর চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতে-১ এ রিমান্ড শুনানি হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর শালাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেছেন শিক্ষকের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ। পরে গোয়েন্দা পুলিশকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিডি-প্রতিদিন/ ০২ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর