২৬ মে, ২০১৬ ১৮:৩৬

২৮ বছর পর চট্টগ্রাম গণহত্যার সাক্ষী দিলেন ড. অনুপম সেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

২৮ বছর পর চট্টগ্রাম গণহত্যার সাক্ষী দিলেন ড. অনুপম সেন

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাক্ষ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিনের আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদিঘি ময়দানে সমাবেশে যাবার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে একই ট্রাকে আমিও ছিলাম। বেলা ১টার দিকে ট্রাকটি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সামনে পৌঁছলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ। এসময় নেতারা মানববর্ম তৈরি করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেন।’ 

ড. অনুপম সেন বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেককে রাস্তায় পড়ে কাতরাতে দেখেছি। পরে শুনেছি ২৪ জন মারা গেছেন। সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের কারও লাশ আত্মীয়স্বজনের কাছে দেওয়া হয়নি।  জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে বলুয়ারদিঘি মহাশ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়ে ফেলা হয়।’

বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি ‍অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ড. অনুপম সেনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর তার জেরা সম্পন্ন হয়েছে।  আদালত ২৬ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন। ওইদিন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ৬ জনকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে প্রয়াত আইনজীবী শহীদুল হুদা বাদি হয়ে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলায় হত্যাকাণ্ডের সময় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের দায়িত্বে থাকা মীর্জা রকিবুল হুদাকে প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন: কোতয়ালী জোনের তৎকালীন পেট্রল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে.সি. মণ্ডল, পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মুশফিকুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, মো. আব্দুলাহ ও মমতাজ উদ্দিন। উচ্চ আদালতের আদেশে জে.সি. মণ্ডল ছাড়া অন্য সবাই জামিনে আছেন।  তবে ঘটনার পর থেকে জে.সি. মণ্ডল পলাতক আছেন। ইতোপূর্বে আদালতে দুই দফায় আলোচিত এ মামলার চার্জ গঠন করা হয়।  প্রথম দফায়  ১৯৯৭ সালের ৫ আগস্ট এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০০ সালের ৯ মে ৮ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/৩২৬/৩০৭/১১৪/৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ মে, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর