বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রতিপক্ষের একজন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এই হামলায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় রেজাউল ইসলাম রেজার মৃত হয়।

এছাড়া এ ঘটনায় আহতরা হলেন, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসেন ও পূর্ন। এদের মধ্যে মেহেদীকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা প্রেরন করা হয়েছে। গুরুতর আহত ফাহিম ও পূর্নকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

২০১০ সালে রেজা বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালে ক্যাম্পাসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে দলীয় প্রতিপক্ষকে কোপানের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ওই কোপানোর স্থির ও ভিডিও চিত্র তখন দেশব্যাপী আলোড়ন সৃস্টি করেছিলো। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সহযোগি মেহেদি হাসান, ফাহিম হোসেন ও পূর্ন সহ কয়েকজনকে নিয়ে রেজাউল করিম রেজা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলো। এ সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ কর্মী জসিম উদ্দিন জয়, সাইফুল, রাকিব ও জাকিরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত তাদের উপর হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৪ জনকে এলোপাথারী কুপিয়ে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। পরে ক্যাম্পাসের ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে জসিম উদ্দিন জয়ের সহযোগী জাহিদ হোসেন নামের এক যুবককে মারধর করে পুলিশে ধরিয়ে দেয় রেজা  এবং তার সহযোগীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরেই রেজা ও তার সহযোগিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। 

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত এক সাবেক ছাত্র চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আহত হয়েছে আরো ৩ জন। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর ক্যাম্পাসে এবং হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। 

বিডি প্রতিদিন/২৮ মে ২০১৬/ হিমেল-০১