২৭ জুন, ২০১৬ ০৯:২৫

এসপি বাবুলকে নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা সঠিক: নাঈমুল ইসলাম খান

অনলাইন ডেস্ক

এসপি বাবুলকে নিয়ে মিডিয়ার ভূমিকা সঠিক: নাঈমুল ইসলাম খান

নাঈমুল ইসলাম খান (ফাইল ছবি)

আমরা আসলে গল্পই ছাপি এবং সেটাকে স্টোরি বলি। আপনি যদি আমাকে বলেন, স্টোরিটা কি এ রকম গল্প ছাপানো উচিত? আমার মনে হয়, ছাপানো উচিত। যদি একজন ব্যক্তি বলতে পারেন তাহলে কেন ছাপাবো না। তথ্য সঠিক, তাই আমরা তথ্যটা ছাপছি না। আমরা ছাপছি কারণ একজন বিশিষ্ট বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটা বলছেন। 

সম্প্রতি পুলিশ কর্তকর্তা বাবুল আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদকে কেন্দ্র বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের নিউজ প্রসঙ্গে গতকাল রবিবার বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল যমুনা টিভির টকশো ২৪ ঘণ্টায় এসব কথা বলেন সিনিয়র সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান। 

তিনি আরও বলেন, এই দায়িত্বশীল মানুষেরা যখন নিজের নাম গোপন রেখে আমাকে কিছু একটা বলেন, সাংবাদিক হিসেবে তখন আমরা কি করবো? তখন আমরা ঝুঁকি নেই। সাংবাদিকতা একটা ঝুঁকি। আর এই ঝুঁকির জন্য মাঝে মধ্যে আমরা হয়তো ভুল করে ফেলি। হয়তো আমার সোর্সই আমাকে বিভ্রান্ত করলো। সারা দুনিয়াতেই এমনটা ঘটে। সাংবাদিক প্রায়শ্চিত্ত করে। কারণ সে তার সোর্সের মিথ্যা তথ্যের জন্য বিপদগ্রস্ত হলো। আবার এমন হয় সোর্স নিজেই বিভ্রান্ত হয়েছে। হয়তো তার সোর্স তাকে বিভ্রান্ত করেছে। পরিস্থিতির প্রতিটি দিক যদি আমরা আলাদা করে রিসার্স অ্যানালাইসিস করি তাহলে কারণগুলো ব্যাখ্যা করা যাবে। 

তিনি বলেন, আমি গতকাল একজন সোর্সের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমাকে একটা তথ্য দিয়েছেন। আমি হয়তো রিপোর্ট করছি না। কারণ আমি রিপোর্টার না। কিন্তু জানছি। আবার আমার রিপোর্টার জানতে পারলে সেটা রিপোর্ট করতো। সাংবাদিকের দায়িত্ব একটাই, আর কিছুই নয়। আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। ধরেন আপনি আওয়ামী লীগ, আমি বিএনপি। আমি বিএনপির মতাদর্শের পত্রিকার কাজ করি। আমি ইচ্ছাকৃত আওয়ামী দুর্বল দিক তুলে ধরবো, কিন্তু আমি কোনো মিথ্যা তথ্য দিতে পারবো না। এটা আমি করি রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কারণে। কিন্তু আমার পলিটিক্যাল বায়াস আমাকে এই অধিকার দেয়নি যে আমি ওই দলের বিরুদ্ধে ভুল, মিথ্যা কিংবা উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রকাশ করে বিভ্রান্ত করবো। 

নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, একজন পুলিশ অফিসারের স্ত্রীকে জড়িয়ে এ রকম তথ্য পরিবেশ করা হলো। অথচ কাউকে তো সুস্পষ্ট করে বলতে শোনা গেল না যে, তার স্ত্রীকে জড়িয়ে যে তথ্যটা পরিবেশ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, অনলাইন পোর্টালে বাবুল আক্তার ও তার স্ত্রীকে জড়িয়ে করা সংবাদ সম্পর্কে একটি জাতীয় দৈনিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, হতেও পারে।

পুরো ব্যাপারটা অস্বাভাবিক উল্লেখ করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, এসপির মতো সিনিয়র পজিশনের একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে মধ্যরাতে ডেকে, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে ১৪/১৫ ঘণ্টা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখবেন। তার বাসায় কোনো খবর পর্যন্ত দিতে দেবেন না। তারপর আপনারা অন্য কিছু বলবেন, আই অ্যাম দ্য লাস্ট পারসন টু একসেপ্ট দ্যাট। 

তিনি বলেন, ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরকে কেন বাবুল আক্তার একটা টেলিফোন করে বলেননি আমি ভালো আছি। তিনি বলেন, এসপি সাহেব এখন অফিসে যান না, আবার ছুটিতেও না। তার বাসার সামনে ফোর্স রাখা হয়েছে। কিন্তু কেন? সেটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। 

 

বিডি-প্রতিদিন/২৭ জুন, ২০১৬/মাহবুব

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর