২৭ জুন, ২০১৬ ২০:৪৮

জাবিতে ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মী সাময়িক বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ

জাবিতে ছাত্রলীগের ৫ নেতা-কর্মী সাময়িক বহিষ্কার

বিডিনিউজের প্রতিনিধি ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন, জাবি শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় টিটো (ইতিহাস, ৪০ তম আবর্তন), ইকরাম আহমেদ নাহিদ (পরিসংখ্যান, ৪৩ তম আবর্তন) এবং জিএম ইকরাম উদ্দিন সাফি অমি (মার্কেটিং, ৪০ তম আবর্তন)। এদের মধ্যে মহিতোষ রায় টিটো বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হলেও অবৈধভাবে মীর মশাররফ হোসেন হলে অবস্থান করেন। এছাড়া বাকি দু'জন মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

এছাড়া নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু রায়হানকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মী শরীফ হোসেন লস্কর (নৃবিজ্ঞান, ৪২তম আবর্তন) এবং রিয়াজুল ইসলামকে (বাংলা, ৪৪ তম আবর্তন) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গত ৮ জুন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এক তরুণীকে অপহরণের হাত থেকে রক্ষা করে অপহরণকারীকে ধরিয়ে দিতে গেলে শফিকুল ইসলাম ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন।

মারধরের সময় মহিতোষ রায় টিটোর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাঁর উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় টিটোকে জাবি শাখা ছাত্রলীগ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। 

এর আগে গত ৪ জুন কম্পিউটার কোর্স শেখার জন্য ক্যাম্পাস থেকে সেনওয়ালিয়া যাওয়ার পথে শিক্ষার্থী আবু রায়হানকে মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।

এদিকে তিন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবিদ সরকার সোহাগ বলেন, “মারধরের সময় যে ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই চিহ্নিত। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাত্র তিন জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে দিল যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসলে অপরাধীদেরই পক্ষে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দীর্ঘ দিনের যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তাঁর সর্বশেষ প্রমাণ হচ্ছে এই ঘটনা।”
 ঈদের ছুটির পর এই ঘটনায় জড়িত সকল দোষীদের বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।


বিডি প্রতিদিন/২৭ জুন ২০১৬/হিমেল-১৯

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর