২৭ জুলাই, ২০১৬ ১৯:১৪

জাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের হুমকি

নিরাপত্তা চেয়ে ৯ শিক্ষার্থীর অভিযোগপত্র

জাবি প্রতিনিধি:

জাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের হুমকি

সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেয়ায় তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। বুধবার এই হুমকির ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছে ৯ সাধারণ শিক্ষার্থী।

জানা যায়, জাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল রিফাত (ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ, ৪৪ তম আবর্তন)-এর সহপাঠীর সঙ্গে একই হলের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী রাজিব আহমেদ (গণিত বিভাগ, ৪৩ তম আবর্তন)-এর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যকার সম্পর্কে জটিলতা সৃষ্টি হলে রাজিব মধ্যস্থতা করার জন্য রিফাতকে সাহায্য করতে বলে। সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও রাজিব সোমবার রাত সাড়ে দশটায় হলের সামনে রিফাতকে ডেকে এনে তার সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। কথা বলার এক পর্যায়ে রাজিব উত্তেজিত হয়ে রিফাতকে মারধর করে। 

মারধরের ঘটনার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার সকালে রিফাত ও তার হলের ৪৪তম আবর্তনের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক বন্ধু মিলে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে রাজিব ও তার ছাত্রলীগের বন্ধুরা মিলে মঙ্গলবার মধ্যরাতে রিফাত ও তার বন্ধুদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং অভিযোগপত্র তুলে নেয়ার জন্য রিফাতের উপর চাপ প্রয়োগ করে। এতে রিফাত ভয় পেয়ে বুধবার সকালে তার অভিযোগপত্রটি তুলে নিলেও তার ৯ জন বন্ধু কতিপয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে এবং নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিযোগকারী জানান, বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগকর্মী ৪০ তম আবর্তনের সৌরভ (উদ্ভিদবিদ্যা), সজল (দর্শন), সৌমিক (লোকপ্রশাসন), আমান (দর্শন), রাকিব (সরকার ও রাজনীতি), সজল (প্রত্নতত্ত্ব) প্রমুখ তাদেরকে অভিযোগপত্র তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় অভিযোগপত্র তুলে না নিলে তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এরা সকলেই বঙ্গবন্ধু হলের আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আসিফ আহমেদের (রসায়ন, ৩৯ তম আবর্তন) অনুসারী বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে আসিফ আহমেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, “বিষয়টি আমরা পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি।” 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা বলেন, “আমরা সকল অভিযোগপত্র বঙ্গবন্ধু হল’র প্রভোস্টের কাছে পাঠিয়েছি। যেহেতু এটি হল’র অভ্যন্তরীণ ঘটনা সেহেতু হল প্রশাসনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।” বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছেন বলে এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৭ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর