রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংঘর্ষ চলে। এতে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন: রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের নাঈম হোসেন, আশরাফ হোসেন,  আবু হোসাইন, আবদুল কাইয়ুম, ফিজিওথেরাপি বিভাগের নাইম হোসেন, ইয়াসিন আরাফাত, গোলাম রাব্বী, ফার্মেসি বিভাগের নাহিদ হোসেন ও ল্যাবরেটরি বিভাগের আল আমিন। তারা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের কর্মী।
    
রাজশাহী ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান জানান, বিভিন্ন দাবিতে সারাদেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন চালানোর জন্য আইএইচটির রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের রানা ও রনি নামের প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থী চাঁদা তুলছিলেন। কিন্তু এই চাঁদার টাকা জমা না দেওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগের ভেতরেই তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রনি ও তার সহযোগীরা রানাকে মারপিট করেন। এরপর রানাও তার সমর্থকদের নিয়ে ছাত্রাবাসে গিয়ে রনির সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়।
    
নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত শিক্ষার্থী কিংবা আইএইচটি’র পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
    
রাজশাহী ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি প্রভাষক ও সহকারী হোস্টেল সুপার আবু রায়হান জানান, সংঘর্ষের ঘটনাটি এলাকা ভিত্তিক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।