২৩ আগস্ট, ২০১৬ ২০:৪১

সংবর্ধনা নেননি বিএনপি নেতা আমীর খসরু

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

সংবর্ধনা নেননি বিএনপি নেতা আমীর খসরু

চট্টগ্রামে নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা নেননি বিএনপির নব-গঠিত স্থায়ী কমিটির সদস্য চট্টগ্রামের সন্তান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। স্থায়ী কমিটিতে স্থান পাওয়ার পর এ প্রথম ঢাকা থেকে বিমান যোগে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামে এসেছেন তিনি। এ উপলক্ষে বিএনপির কার্যালয়ে সকাল ১০টায় বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এতে সংবর্ধনার বদলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি সিউএফএল’র ঘটনায় আহতদের দেখতে গেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এর আগে চট্টগ্রামে মীর নাছির উদ্দিন ও মীর হেলাল উদ্দিনকে নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা দিয়েছেন।

তবে সংবর্ধনার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হলেও অসম্মতি প্রকাশ করায় (খসরু) এ সংবর্ধনা নেননি বলে জানান খসরুর পিএস মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন এ পদ প্রাপ্তিতে বিএনপি ও অসঙ্গসংগঠন ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন। এ সংবর্ধনা না নিয়ে তিনি (খসরু) সকালে সরাসরি রাঙ্গুনয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা এবং জিয়ারত করবেন। এছাড়া যেখানে দলের অসংখ্য নেতাকর্মী জেল-জুলুম, মামলা ও হামলার সম্মুখীন, সেই মুহূর্তে সংবর্ধনা নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ পদ দেয়া হয়েছে কাজ করার জন্য, সংবর্ধনার জন্য নয়। এখন কাজ করার সময়, সংবর্ধনার সময় নয়। নতুন কমিটি দেয়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আমীর খসরু জানিয়েছেন বলে জানান পিএস সেলিম। 

চট্টগ্রামে এসে বিপ্লব উদ্যানে শ্রদ্ধানিবেদনের পাশাপাশি নির্যাতিতসহ অন্য নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন এ স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, দেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, প্রতিনিয়ত মানবাধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে, জনগণ ভোটাধিকার হারিয়েছে। গণতন্ত্রের পুনঃরুদ্ধারে, ভোটাধিকার, মানবাধিকার ফিরিয়ে পাওয়ার লক্ষ্যে ও জাতীয়তাবাদী শক্তি একতাবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নবীন ও প্রবীনদের সমন্বয়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার ও মামলা-হামলা স্বীকার হয়েছেন তাদেরকে নিয়ে একটি নতুন কমিটি উপহার দিয়েছেন। কমিটি দেওয়ার পর এখন মুল লক্ষ্য হচ্ছে একতাবদ্ধভাবে কাজ করা এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলকে একতাবদ্ধভাবে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। দেশের প্রতিটি সেক্টর দলীয় করণে পরিণত করা হয়েছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। আমীর খসরু এরকম একটি দায়িত্ব অর্পন করায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেগম রোজি কবির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ। মতবিনিময় সভা শেষে খসরু নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। একই সাথে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এতে নগরীর ১১ থানা, ৪১টি ওয়ার্ডের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর