২৪ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:১৪

পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৪২

নগরীর ব্যস্ততম স্টেশন রোড ও নিউ মার্কেট এলাকায় এশিয়ান অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোতোয়ালী জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার আবদুর রহিম, ওসি জসিম উদ্দিনসহ ১২ পুলিশ সদস্য এবং অন্তত ৩০ জন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ শতাধিক পুরুষ ও নারী শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক করা হয়েছে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে।

প্রত‌্যক্ষদর্শীরা জানান, এশিয়ান অ্যাপারেলসের নারী কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব‌্যবহারের অভিযোগে ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বুধবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারিদের সরাতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন জানান, পোশাক শ্রমিকরা নগরীর স্টেশন রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। শুরুতে শ্রমিকদের বুঝিয়ে এবং মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিই। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এরপর পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান ওসি।

সংঘর্ষে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) আবদুর রহিম, কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহম্মদসহ অন্তত ১২জন জন পুলিশ সদস্য আহত হন।  আর পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে আহত হন অন্তত ৩০ জন শ্রমিক।

শ্রমিকদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার সকালে এশিয়ান অ্যপারেলসের উত্তর কাট্টলীর কারখানায় কাটিং সেকশনের নারী শ্রমিকরা কাজ করছেন না অভিযোগ তুলে তাদের গালিগালাজ করেন একজন সুপারভাইজার। প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর স্টেশন রোডে প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। বুধবার দুপুরে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের অভিযোগ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- এই আশ্বাসে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারিরা শান্ত হন। আলোচনার জন্য বুধবার মালিকপক্ষের বসার কথা থাকলেও তারা আসেননি। এ কারণে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ ‘বিনা কারণে’ মারধর শুরু করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওসি জসিম উদ্দিনের অভিযোগ-‘সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পোশাক শ্রমিকরা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে আমরা শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে যাই। এ সময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ মাইকিং করে শ্রমিকদের কারখানার ভেতর থেকে বের হতেও নিষেধ করে।’

বিডি প্রতিদিন/  ২৪ আগস্ট ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর