১ অক্টোবর, ২০১৬ ১৯:৫১

'দেশে নিরাপত্তার অভাব, মানুষ পরিবর্তন চায়'

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

'দেশে নিরাপত্তার অভাব, মানুষ পরিবর্তন চায়'

দেশে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশে মানুষ গুম-খুন হচ্ছে। কিন্তু এর প্রতিকার হচ্ছে না। দেশ ও মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন। এভাবে চলতে পারে না। মানুষ পরিবর্তন চায়।

শনিবার বিকেলে সিলেট রেজিস্টারি মাঠে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এরশাদ বলেন, প্রতিদিন মানুষ মরছে, গুম-খুন-ধর্ষন বাড়ছে। কিন্তু এসবের বিচার হচ্ছে না। দু:খ লাগে এই কি আমার দেশ, স্বাধীন দেশ।

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, কিভাবে বিগত নির্বাচন হয়েছে আমরা সবাই জানি। এটা সঠিকভাবে হয়নি। তবে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে।

আবারও প্রাদেশিক সরকারের দাবি তুলে এরশাদ বলেন, দেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু হলে জনগণ এর সুফল পাবে। এক ব্যক্তির পক্ষে ১৬ কোটি মানুষকে শাসন করা সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলে জানান জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর সিলেটের মানুষ আমার প্রাণ রক্ষা করেছিল। তারা ভোট দিয়ে আমাকে অনেকগুলো আসন উপহার দিয়েছিল। সিলেটের মানুষের এ ভালোবাসা না পেলে আমাকে হয়তো ফাঁসিতে ঝুলতে হতো। 

ক্ষমতা ছাড়ার পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল ক্ষমতা ছাড়লে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু পরে আমাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলে বিজয়ী হয়ে জাতীয় পার্টি আবারও ক্ষমতায় যেত।'

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির সরকার ৯ বছরে যে উন্নয়ন করেছিল তা পরবর্তী কোন সরকার করেনি। জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ করে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সরকারগুলো জাতীয় পার্টির জনবান্ধব উদ্যোগগুলো বন্ধ করে দেয়। এতেই প্রমাণ হয় জাতীয় পার্টিই একমাত্র মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, পানি সম্পদমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু এমপি, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিয়িাম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, সালমা ইসলাম এমপি, হুইপ সেলিম উদ্দিন এমপি, ইয়াহইয়া চৌধুরী এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, আব্দুল মুনিম চৌধুরী এমপি প্রমুখ।

শনিবার দুপুর পৌণে ১টায় সিলেটে এসে পৌঁছান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমেই তিনি চলে যান হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারতে। এরপর হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জিয়ারত করে তিনি যোগ দেন জনসভায়।


বিডি-প্রতিদিন/ ০১ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর