রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়ায় অবস্থিত সরকারি সেফ হোমে একজনের মৃত্যুর পর আরও ৬ নারী-শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন, রাশিদা (৩০), আম্বিয়া (৪০), অজিফা (১৮), পারভিন (৩০), কুলসুম (৮) ও তানিয়া (৬)। এনিয়ে অসুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলো ২৬ জনকে।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব আলম জানান, শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারা এখন হাসপাতালের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। এর আগে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার দুই দফায় ২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিনতি রানী (২৫) নামে এক নারী। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
এদিকে, গত কয়েক দিনের ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক জুলফিকার হায়দার সেফ হোমটি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় একের পর এক হেফাজতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সেখানে দায়িত্বরত সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
এছাড়া অসুস্থ হওয়ার কারণ উদঘাটনে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন তিন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে দিয়েছেন। শনিবার সকালেই ওই মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেফ হোমের পরিচালক আবু তাহের।
তবে সেফ হোমের পরিচালক আবু তাহের দাবি করেছেন, সেফ হোমে যারা আছেন, তাদের প্রায় সবাই মানসিক প্রতিবন্ধী। এ কারণে নোংরা পানি পান করায় এদের মধ্যে থেকে কেউ একজন প্রথমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এখন সেটি ছড়িয়ে পড়ছে অন্যদের মাঝেও।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সেফ হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতিদের খাবার সরবরাহ, চিকিৎসা প্রদান ও পথ্য সরবরাহে নানা অনিয়ম করছেন। তাদের সরবরাহকৃত খাবারও অত্যন্ত নিম্নমানের। এছাড়া তাদের নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়। এ জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা।