২৩ অক্টোবর, ২০১৬ ১৪:২৬

'মানবাধিকারের কথা বলার আগে বাসার গৃহকর্মীর খোঁজ নেন'

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

'মানবাধিকারের কথা বলার আগে বাসার গৃহকর্মীর খোঁজ নেন'

ফাইল ছবি

মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘মানবাধিকারের কথা বলার আগে আপনারা আগে নিজের বাসার গৃহকর্মীর খোঁজ নেন। তারও মানবাধিকার আছে। কোন কোন মানবাধিকার কর্মীর বাসায় গৃহকর্মীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই বলে সব মানবাধিকার কর্মীর বাসায় এমনটা ঘটে না।’

রবিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের ‘বিভাগীয় শিশু কল্যাণ পরিষদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
    
মন্ত্রী বলেন, ‘গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে গত বছর একটি নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছে। শিগগিরই এটিকে আইনে রূপান্তর করা হবে। কোনো গৃহকর্মীর মানবাধিকার লক্সঘন হতে দেওয়া হবে না। একজন সরকারি কর্মকর্তার কর্মঘন্টা ৮ ঘণ্টা হলে, একজন শ্রমিক, গৃহকর্মীর কর্মঘণ্টাও ৮ ঘণ্টা। এর বেশি কাজ করালে তাদেরকে অতিরিক্ত মজুরি দিতে হবে।’
    
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ ছিল ৪৫ লাখ। শনিবার পর্যন্ত এ তহবিলে টাকা এসেছে ১৮৪ কোটি টাকা। ৭৯টি কোম্পানী তাদের লভ্যাংশের অংশ থেকে এ টাকা জমা দিয়েছে। এ টাকা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
    
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাভের একটা অংশ সরকারি কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়ার আইন আছে। অনেকেই এ আইন লঙ্ঘন করেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর টাকা জমা দেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিতে শুরু করেন। তাই টাকার অংক বেড়েছে। তহবিলে টাকা না দিলে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বার্ষিক নিরীক্ষার সময় যে কর্মকর্তা টাকা না দেওয়া কোম্পানির পক্ষে প্রতিবেদন দেবেন তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
    
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমদ, শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব খন্দকার মোসতান হোসাইন, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি এমরানুল হক চৌধুরী প্রমুখ।


বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ অক্টোবর, ২০১৬/ আফরোজ 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর