১৮ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:২৪

কুমিল্লায় চালক হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় চালক হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় মাইক্রোবাস চালক রৌশন আলীকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া মামলার বাকি চার আসামির মধ্যে দু'জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এ আদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বড় ভৈষখোলা গ্রামের ওমর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রতাবপুর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সুমন, একই জেলার আদর্শ সদর উপজেলার মাঝিগাছা গ্রামের মো. বাহার মিয়া খলিফার ছেলে আব্দুল জলিল মিয়া ও চৌদ্দগ্রামের উপজেলার চাঁনশ্রী গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন।

কুমিল্লা জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্য সেবা কেন্দ্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় নগরীর বিষ্ণুপুর আবুল কাসেমের ছেলে গাড়ি চালক মো. রৌশন রেন্ট-এ কারযোগে রওনা হয়ে ঢাকা বিমানবন্দর ভাড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে আসামিরা গাড়ির রৌশনকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস নিয়ে যায়। রৌশন বাসায় ফিরে না আসায় গাড়ির মালিক ও পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে ২৩ অক্টোবর গাড়ির মালিক কোতয়ালী ঝাউতলা’র নিবাসী মো. আলী আহম্মেদের ছেলে মাহেনুর আহাম্মদী বাদী হয়ে আবদুল জলিলসহ ৪ জনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় জিডি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই কাজী মাহবুবুর রহমান আসামি আবদুল জলিল ও সুমনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে মাইক্রোবাস চালক রৌশন হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসে। তাদের তথ্যানুসারে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়ার বাজার এলাকার একটি গামের্ন্টস এর টয়লেটের ট্যাংকি হতে চোরাই যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক রৌশন আলী’র গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ২০০০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে আসামিগণের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী মাহবুবুর রহমান ও এসআই মো. মোশারফ হোসেন।

এরপর ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৮ জন আসামির মধ্যে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জারিমানা করেন আদালত।

এ ছাড়াও ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার দোলেশ্বর গ্রামের মো. রুহুল আমিন ওরফে ভুলু মিয়া’র ছেলে আসামি কাঞ্চন মিয়া ও একই গ্রামের মো. নাসির মিয়ার ছেলে মো. ছিদ্দিকুর রহমান সাঈদকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি নাইটগার্ড মিজানুর রহমান (মিজান) ও মো. গণি মিয়াকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

 

বিডি-প্রতিদিন/১৮ জানুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর