১৯ জানুয়ারি, ২০১৭ ২১:০৪

'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ পায় না'

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:

'অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও প্রতিবেদন প্রকাশ পায় না'

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, সাধারণত বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর সাধারণ মানুষের কাছে একটি কৌতুহল জাগে যে বিষয়টি কি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয় কিন্তু তদন্তের যে রিপোর্ট তা কখনও জনসম্মুখে প্রকাশ পায় না। এই ধরণের ঘটনায় নাশকতা প্রমাণিত হয়ে বিচারিক আদালতে শাস্তির দৃষ্টান্তও আমরা দেখতে পায় না।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘ফায়ার হ্যাজার্ডস ইন আর্বন এরিয়া: চ্যালেঞ্জ এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

এতে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঞ্চলনায় আলোচনায় অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুলহ হকসহ দেশের বিশিষ্ট গবেষক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকার যে সমস্ত কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ মার্চ থেকে এই সমস্ত কেমিক্যাল গোডাউনগুলো স্থানান্তরিত হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত এই স্থানান্তর কাজ পরিচালনা করবে। একই সাথে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং র‌্যাব সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করবে বলে জানান তিনি।

উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ঢাকা শহরের বর্তমান জনসংখ্যা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের জনবল থাকার কথা ন্যূনতম ১০ হাজার। কিন্তু আছে মাত্র ৫০০ জন। অপরদিকে ফায়ার স্টেশন থাকার কথা ৫০টি কিন্তু আছে মাত্র ১২টি। বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরে ফায়ার সার্ভিসের জনবল এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, অধিকাংশ অগ্নি দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হল ইলেক্ট্রিক্যাল সমস্যা। তাই মানসম্মত বৈদ্যুতিক তার ও ফিটিংস ব্যবহার করা প্রয়োজন। অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা নিয়মিত ভবনের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাও পরীক্ষা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উত্তরের মেয়র।

বিডি প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি, ২০১৭/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর