২২ জানুয়ারি, ২০১৭ ২০:৫৫

প্যান্ট চুরির মামলায় সাংবাদিক নাজমুলের রিমান্ড ও জামিন নাকচ

আদালত প্রতিবেদক

প্যান্ট চুরির মামলায় সাংবাদিক নাজমুলের রিমান্ড ও জামিন নাকচ

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানায় করা প্যান্ট চুরির মামলায় রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেগম আফসানা আবেদীন এ আদেশ দেন। এর আগে সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে রিমান্ড শুনানীর জন্য কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

শুনানীতে নাজমুলের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বলেন, মাননীয় আদালত এ মামলায় নাজমুলকে রিমান্ডে পাঠাবেন কিভাবে? গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে ঢাকা জেলার বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান সাংবাদিক ফাঁসানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে, বুঝে, শুনে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে লিখিতভাবে এ মামলার কথা অস্বীকার করে প্রতিবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে গার্মেন্টসে প্যান্ট চুরির মামলায় জড়ানোর অভিযোগ আনা হলেও বাস্তবে গার্মেন্টস কারখানায় প্যান্ট চুরির অভিযোগে কোনো মামলাই রুজু হয়নি।' কিন্তু বাস্তবে গত ৩১ ডিসেম্বর আশুলিয়া থানার ২৫(১২)১৬ নং মামলায় সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শামীম হাসান। এর প্রমাণস্বরূপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। এখন রাষ্ট্রপক্ষ যদি অস্বীকার করে, তাহলে বিষয়টি মাননীয় আদালত তদন্তে পাঠাতে পারেন। আদালতকে কাগজপত্র দেখানো হয়েছে। বিচারক ওই কাজগপত্র দেখে রাষ্ট্রপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনার এস পি সাহেব এ কি করেছেন, তা আপনি দেখেছেন।

এর আগে দুই দফা রিমান্ড শেষে সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। এর কিছুক্ষণ পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গত বছরের প্যান্ট চুরির মামলাসহ পুরনো আরও ৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত প্যান্ট চুরির মামলাসহ পুরনো ৫ মামলার সবকটির রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দেয়।


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর