২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ২১:৫২

বিএনপিকে নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করতে হবে: শেখ সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক


বিএনপিকে নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করতে হবে: শেখ সেলিম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনেই নাকে খত দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি। কোন টালবাহানা করে লাভ হবে না। যদি গতবারের মতো ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেন তাহলে গণপিটুনির জন্য প্রস্তুত থাকেন। জনগণ এমন গণপিটুনি দেবে পালাবারও সময় পাবেন না।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রবিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি বলছে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। কিন্তু আপনারা এই সরকারের অধীনে নাকে খত দিয়ে নির্বাচন করবেন। টালবাহানা করে লাভ হবে না। এইবার না করলে নিবন্ধন বাতিল হবে। মুসলিম লীগের চেয়ে খারাপ অবস্থা হবে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে কারো কিছু আসে যায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “আসেন, না আসেন আমাদের কি? যার ইচ্ছা সে নির্বাচন করবে। হুমকি-ধামকি দিয়েন না। আন্দোলন কাকে বলে, কয় প্রকার আওয়ামী লীগ জানে। আপনার পিছনের দিক দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার দল। জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় গিয়েছিলো। যদি গতবারের মতো ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করেন, সন্ত্রাস করেন, জনগণের সম্পদ নষ্ট করেন, তাহলে গণপিটুনির জন্য প্রস্তুত থাকেন। এমন গণপিটুনি জনগণ দেবে, পাকিস্তানেও পালাতে পারবেন না।”

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে শেখ সেলিম বলেন, তারা তো (বিএনপি) আজিজ-সাদেক মার্কা নির্বাচন করেছিলো। আজিজ ভুয়া ভোটার করেছিলো। সাদেক ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিলো। আজকে ভুয়া ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা হয়েছে। আমরা জিয়ার মতো হ্যাঁ-না ভোট বা ফালুর মতো উপনির্বাচন করিনি। ওই সুযোগ আর আসবে না। তিনি বলেন, এখন খালেদা জিয়া নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেছে। কি করেছে? গ্রহণযোগ্য সহায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। এটা সংবিধানে নাই। সংবিধানে আছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। কোন অসাংবিধানিক সরকারের হাতে নয়। খালেদা তথাকথিত সুশীল সমাজকে মাঠে নামিয়েছে। এমন সব কথা বলছে, তাকে হেমায়েতপুর নয় রাঁচিতে পাঠাতে হবে। তিনি আবোল-তাবোল বলছেন।

শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি এখন আবার আলোচনার কথা বলছে। কিসের আলোচনা, কার সাথে আলোচনা। যারা মানুষ হত্যা করে, রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করেছে, গাছ কেটেছে- তাদের সাথে কিসের আলোচনা। খালেদা জিয়া ২০০ লোককে হত্যা করেছে। এরা সন্ত্রাসী সংগঠন, জঙ্গি। এদের সাথে আলোচনা নয়। বিশ্বের কোথাও কেউ সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠনের সাথে আলোচনা করে না। গত নির্বাচনের খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলোচনার আহ্বানের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কিন্তু তিনি আলোচনায় না এসে অবরোধ-হরতালের নামে অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে ভেবেছিল শেখ হাসিনা তার কাছে মাথা নত করবে। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে; কারও কাছে মাথা নত করার মতো নেতা নয়।

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া মামলায় হাজিরা দেয় না। খালি তারিখ পরিবর্তন করে। ৫০ বার হাইকোর্টে গেছে। অসুস্থ্যতার কথা বলে আদালতে যান না। মনে দুর্বলতা আছে তো, তাই। এ পর্যন্ত ৪০ বার তারিখ পরিবর্তন করেছে। উনি যদি মনে করেন অপরাধ করে রক্ষা পাবেন, তা হবে না। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই বাংলার মাটিতে এর বিচার হবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন মেজর অব. রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), টিপু মুনশি, মো. আবদুল হাই, শামছুল হক চৌধুরী, উম্মে রাজিয়া কাজল প্রমুখ।

বিডি-প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর