২২ মার্চ, ২০১৭ ১৭:০১

কুমিল্লায় প্রবাসী হত্যায় নারীসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় প্রবাসী হত্যায় নারীসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিপণের দাবিতে প্রবাসী শামসুল হুদা (৩৮) হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বুধবার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নূর নাহার বেগম শিউলী এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে পলাতক আসামি শিপন মজুমদার ওরফে রিপন (২২), একই উপজেলার আটগ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিন (২২) এবং নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার মো. খোকন মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা ওরফে সালমা (২৬)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রবাসী শামসুল হুদার কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার লতিফ শিকদার গ্রামের মৃত পেয়ার আহম্মেদের ছেলে মৃত শামসুল হুদার বড়ভাই মো. জসিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর বেলা দেড়টার সময় কুমিল্লা হাউজিং স্টেট এলাকায় বিবর্তন নামক বিল্ডিংয়ের ৫তলায় প্রবাসী শামসুল হুদাকে গ্রিলের সাথে হাত-পা বেঁধে পুরো মুখে স্কেচটেপ প্যাঁচিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।  

এ ঘটনায় ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মৃত শামসুল হুদার বড়ভাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দিন মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রথমে নগরীর চাঁনপুর বউ বাজার এলাকার মো. খোকন মিয়ার স্ত্রীকে তাসলিমা ওরফে সালমাকে আটক করে। পরবর্তীতে তাসলিমা’র দেখানো মতে, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মিয়ার বাজার বাসমতি নামক খাবার হোটেল থেকে অপর দু’আসামি একই জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মনিকপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে শিপন মজুমদার ওরফে রিপন ও একই উপজেলার আটগ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিনকে আটক করেন কোতয়ালী থানা পুলিশ। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন ২০১৪ সনের ১০ মে আসামি শিপন মজুমদার, সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে এলে ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি শিপন মজুমদার (পলাতক), আসামি সাহাবুদ্দিন ও তাসলিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডদেশ প্রদান করেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের এপিপি অ্যাড. সৈয়দা রেখা এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. ইকরামুল হক ও অ্যাড. নাইমা সুলতানা মুন্নী।


বিডি-প্রতিদিন/২২ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর