২৬ মার্চ, ২০১৭ ১৮:৫৬

চট্টগ্রামে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে ভোরের আলো ফুটতেই শহীদ মিনারে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও জনতার ঢল নামে।
 
সকাল ছয়টায় শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। এরপর আসেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পিবিআই সহ বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

তাছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ১০ বরেণ্য ব্যক্তিকে স্বাধীনতা সম্মাননা স্মারক এবং জেলা প্রশাসন ১৩৭ মুক্তিযোদ্ধাকে পৃথকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে।

জেলা প্রশাসনের প্যারেড
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এদিন সকালে প্যারেড মাঠে মহান স্বাধীনতা দিবসের ডিসপ্লে পর্বে নগরের প্রায় ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী প্যারেডে অংশ গ্রহণ করে। এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সারোয়ার জাহান, নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা প্রমুখ।
এরপর দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের ১৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন।

বিএনপি
বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখা দলীয় কার্যালয় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত স্বাধীনতা শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এতে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ দিন পর বিএনপির এমন শোডাউন নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে এনেছে বলে তারা মনে করছেন। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের নেতৃত্বে এ শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে, গত শনিবার রাতে শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে না পেরে গণমাধ্যমে এক বিবৃতির মাধ্যমে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সহ সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবসের রাতে ফুল দেয়ার কর্মসূচি ঠিক করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ বলছে, রাতে ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাতে ফুল দেওয়া যাবে না। বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা আমাদের সব কর্মসূচি বাতিল করেছি। তবে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে কষ্ট পেয়েছি।

১০ গুণীজনকে চসিকের স্বাধীনতা স্মারক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বিকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রামের ১০ গুণীজনকে স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান করে। চসিক মেয়র বরেণ্য ব্যক্তিদের হাতে এ পদক তুলে দেন। এবার সম্মাননা দেওয়া হয়েছে মোখতার আহমদ (মরণোত্তর), ভূপতি ভূষণ চৌধুরী (মানিক চৌধুরী, মরণোত্তর), আতাউল হাকিম, ওস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ডা. ফজলুল আমীন (মরণোত্তর), ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, বেগম রুনু সিদ্দিকী (মরণোত্তর), সাফিয়া গাজী রহমান, বেগম হাসিনা জাকারিয়া, মোজাম্মেল হককে।
    
চবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মহান স্বাধীনতা দিবস নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়েছে। সকাল ৮টায় স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার সমিতি, চবি ক্লাব (ক্যাম্পাস ও শহর), চবি মহিলা সংসদ, চবি সাংবাদিক সমিতি, সমন্বয় কর্মকর্তা বিএনসিসি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর