২৯ মার্চ, ২০১৭ ১৮:৩০

প্রেম ব্লাকমেইলিং অতঃপর খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রেম ব্লাকমেইলিং অতঃপর খুন

ইয়াসমিন আকতার রুম্পার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন আলাওলের। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালেই রুম্পার কিছু বিশেষ ছবি ও ভিডিও আলাউল নিজের মোবাইলে ধারণ করেন। এক সময় রুম্পার বিয়ে হয় অন্য জায়গায়। এরপর থেকে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে রুম্পাকে করা হয় যৌন নিপীড়ন ও ব্লাকমেইলিং।

রুম্পাকে এর হাত থেকে রক্ষা করতে খুনের পরিকল্পনা করে তার প্রবাসী স্বামী ইকবাল হোসেন। পরিকল্পনা মত রুম্পাকে দিয়ে ঢেকে এনে হত্যা করা হয় আলাউলকে। এ ঘটনার এক সপ্তাহের পর ‘ক্লু’লেস এ খুনের রহস্যজট উম্মোচন করে বায়েজীদ থানা পুলিশ। এ খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রুম্পা, তার স্বামী মো. ইকবাল হোসেন, ইকবালের দুই সৎ ভাই মো. তৈয়ব ও মো. হেলালকে।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘রুম্পার সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে আলাউদ্দিন কিছু ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। অন্য জায়গায় তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে সেই ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইলিং শুরু করে আলাউদ্দিন। এ ব্লাকমেইলিং থেকে স্ত্রীকে রক্ষা করতে আলাউদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে ইকবাল ও তার দুই ভাই। পরিকল্পনা মতই বায়েজীদ এলাকায় এনে তাকে হত্যা করে।’

পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়- আলাউদ্দিনের কারণেই রুম্পার প্রথম বিয়ে ভেঙে যায়। প্রথম সংসার ভেঙে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ের আগ পর্যন্ত আলাউদ্দিন রুম্পাকে যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করে। এসময় আলাউদ্দিন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ এবং বিল্ডিং থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার ভয় দেখাত।

পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়- ২২ মার্চ বিকেলে আলাউদ্দিনকে কৌশলে ঢেকে আনে রুম্পা। বিকেলেই ইকবাল ও রুম্পা এবং তার তিন সৎ ভাই হেলাল, মাসুদ ও তৈয়ব ওই বাসায় যায়।  সাথে নেয় নাইলনের রশি, একটি ছোরা, বালিশ-কাঁথা ও পাটি। আলাউদ্দিন বাসায় ঢুকতেই সবাই মিলে তাকে হত্যা করে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর