৩০ মার্চ, ২০১৭ ১৭:৪৩

চট্টগ্রামে ‘ডিবি পরিচয়ে’ তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে ‘ডিবি পরিচয়ে’ তিনজনকে অপহরণের অভিযোগ

চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন আল ফালাহ গলির বাসা থেকে সাতদিন আগে ডিবি (গোয়েন্দা বিভাগ) পরিচয়ে একই পরিবারের তিনজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তাদের পরিবার। আজ  দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অপহৃত এস এম শফিকুর রহমানের স্ত্রী এ অভিযোগ করেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও পরিবারটি অভিযোগ করে। অপহৃতরা হলেন, পরিবহন ব্যবসায়ী এস এম শফিকুর রহমান এবং তার দুই শ্যালক মো. হাসান তারেক ও মোয়াজ্জেম হোসেন সাথী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তারেকের বোন বিবি আমেনা রুম্পা। উপস্থিত ছিলেন তারেকের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ফৌজিয়া আইনুন নাহার রুমি ও শফিকুরের স্ত্রী সোলতানা রাজিয়া টুম্পা।     

শফিকুরের স্ত্রী সোলতানা রাজিয়া টুম্পা বলেন, গত ২৪ মার্চ দুপুরে ছয়জন লোক নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের বাসায় আসে। ঘরে ঢুকেই তারা তিনজনের আটটি মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর একটি সাদা কাগজে দস্তখত করতে আমার স্বামীর উপর চাপ প্রয়োগ করেন। এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার স্বামী ও ভাই মোয়াজ্জেমকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। তারেক মোটরসাইকেল নিয়ে মাইক্রোবাসের পেছনে পেছনে গেলে পাঁচলাইশ থানার সামনে থেকে তাকেও মোটরসাইকেলসহ তুলে নিয়ে যায়।  
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২৫ মার্চ খুলশি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ওইদিন রাতে শফিকুর তার মোবাইল থেকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমাদের যারা তুলে নিয়ে এসেছে তারা নাকি সরকারের বিশেষ টিমের লোকজন। আমার এখানে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমাদের উপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এখান থেকে আমাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা কর।   
শফিকুরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী ও ভাইদের কোন অপরাধ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হোক। কিন্তু ছয়দিন ধরে তাদের থানায় সোপর্দ না করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে এটা কোন আইন? কোন চিহ্নিত অপরাধীকেও তো এভাবে গুম করে রেখে নির্যাতন চালানো যায় না। আর আমার স্বামী ও ভাইদের কোন অপরাধ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় বিচার হোক। কিন্তু ছয়দিন ধরে তাদের থানায় সোপর্দ না করে যেভাবে নির্যাতন চালানো হচ্ছে এটা বড় অমানবিক। কোন চিহ্নিত অপরাধীকেও তো এভাবে গুম করে রেখে নির্যাতন চালানো যায় না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু লোকের এমন বিতর্কিত ভুমিকা সরকারের উজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
শফিকুর নগরীর সল্টগোলা ঈশান মিস্ত্রি হাট এলাকার এস এস ট্রান্সপোর্টের মালিক। তারেকের বায়েজিদ এলাকায় টি আর মোবাইল টেকনোলজি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তার ভাই মোয়াজ্জেম মধ্যপ্রাচ্য থেকে সদ্য দেশে বেড়াতে আসেন।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর