শিরোনাম
২৪ এপ্রিল, ২০১৭ ১৮:২৭

'বরাদ্দ নিয়েও সরকার হাওরবাসীর সঙ্গে প্রহসন করছে'

অনলাইন ডেস্ক

'বরাদ্দ নিয়েও সরকার হাওরবাসীর সঙ্গে প্রহসন করছে'

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট মানবাধিকার নেতা সুলতানা কামাল বলেছেন, হাওরে ২৪ লাখ কৃষক বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল। তাদের সব ধান তলিয়ে গেছে। দেশের অনেক মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের সবার জন্য সহযোগিতা দরকার। কিন্তু সরকার তাদের মধ্যে থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কৃষক পরিবারকে কীভাবে নির্বাচন করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করল, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তার অভিযোগ, এখানেও দুর্নীতির গন্ধ রয়েছে। এই বরাদ্দকে হাওরবাসীর সঙ্গে সরকারের প্রহসন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হাওরে মহাবিপর্যয় উদ্বিগ্ন নাগরিকবৃন্দ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল এ কথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘আমরা রামপালের কারণে সুন্দরবনে ক্ষতির কথা বললে সরকার বলে আমাদের বাসার বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দেবে। সরকারের মন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা হাওরের বাঁধ কেটেছে।’

সুলতানা কামাল বলেন, হাওরের জলাভূমি জনগণের সম্পদ। একে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব আচরণ অসাংবিধানিক। জনগণের সম্পদ নিয়ে এ ধরনের যথেচ্ছাচারই হাওরে এত বড় বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন হাসনাত কাইয়ুম। লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ হাওরে বিপর্যয়ের ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ একটি কমিটি গঠন করে দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী হাওরবাসীর জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ও পাঁচ হাজার কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘জেগে থেকে ঘুমের ভান করবেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গবেষক স্বপন আদনান, সংস্কৃতিকর্মী মাহমুদ সেলিম, সংস্কৃতিকর্মী কফিল আহমেদ প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর