২৯ এপ্রিল, ২০১৭ ২১:৫৩

জঙ্গি জসিম ও আরজিনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

জঙ্গি জসিম ও আরজিনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সীতাকুণ্ডের সাধন কুঠির থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি জসিম ওরফে জহিরুর ইসলাম ও তার স্ত্রী আরজিনা ওরফে রাজিয়া আক্তার ওরফে রাজিয়া সুলতানা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত শুক্রবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ড মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে করা ৩টি মামলায় চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের আদালতে পৃথক পৃথক ভাবে অভিন্ন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। 

মামলার ৩টির তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মাহবুব মিল্কি জঙ্গি দম্পতির আদালতে জবানবন্দি দওেয়ার কথা বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদকে কাছে স্বীকার করেন। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতারের পর হতে টানা ৫বার পর্যন্ত বিভিন মেয়াদে রিমান্ড আনা হয় ছিল। জবানবন্দির পরে তাদেরকে কড়া নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম কারাগারে প্রেরণ কারা হয়।

জবানবন্দিতে তারা বলেন- পটিয়া মইজ্জারটেক এলাকায় জঙ্গি কর্মকান্ড ও বোমা বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন । বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়িতে প্রায় ৮মাস আগে তাদের জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করেন আরেক জঙ্গি সিলেটে নিহত মোশারফ হোসেন ওরফে সোহেল রানাসহ আরো দুই জন। তারা তাদেরকে মিয়ারমার রোহিঙ্গা নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখিয়ে উদ্বুদ্ধ করা হতো। আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানীর ওয়াজ শোনানো হতো। এই ভাবেই তারা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। নাইক্ষ্যাংছড়িতে ৮মাস উদ্বুদ্ধ করনের পর পটিয়া মইজ্জারটেক এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ, বোমা তৈরী ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতœঘাতী হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এর আগে তারা বাবার সাথে পানের বরজে কাজ করত দৈনিক ভিক্তিতে। মূলত সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই তাদের মূল টার্গেট। কারণ তারা এই কাজে বাঁধা দেয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ তাদেরকে সাধন কুটির মালিকের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়। তার আগে জঙ্গি দম্পতি ছায়া নীড় বাড়িতে ছিল। ছায়া নীড় বাড়ীতে আত্মঘাতী হামলায় ১ শিশুসহ ৪ জঙ্গি নিহত হয় এবং নব্য জেমবি দেশের সর্ব বৃহত্ত বোমা ও বোমা তৈরীর সারঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।  তাদের দেওয়া সূত্র ধরে দেশের সিলেটসহ অনেক জায়গায় অভিযান চালানো হয়। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর