২২ মে, ২০১৭ ১০:২৬
আদালতে বিল্লালের জবানবন্দি

দুই তরুণী হাত-পা ধরলেও ছাড় দেয়নি সাফাতরা

অনলাইন ডেস্ক

দুই তরুণী হাত-পা ধরলেও ছাড় দেয়নি সাফাতরা

সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ

রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। 

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিল্লাল জবানবন্দিতে বলেছে, ‘দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের অষ্টম তলার দুই রুমে আটকে রেখে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। আর ধর্ষণের পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ। তাদের মধ্যে নাঈম ধর্ষণকাজে প্রধান ভূমিকা রাখে। ধর্ষণের সময় দুই তরুণীই বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করে। এমন কাজে বাধ্য না করতে তারা সাফাত ও নাঈমের হাত-পা ধরে। কিন্তু তারা (সাফাত-নাঈম) কিছুতেই ছাড় দেয়নি।

      সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন/ফাইল ছবি

জবানবন্দিতে বিল্লাল আরও বলেন, সাফাতের কথামতো আজাদ ও আমি (বিল্লাল) পুরো রাতই হোটেলের ওই কক্ষ পাহারা দিই। খাবারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম এনে দিই। ধর্ষণের সময় দুই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধুও ছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গভীর রাতে সাফাত তার রুমে আসতে বলে। এরপর তাকে বাথরুমে দাঁড় করিয়ে রাখে সাফাত। ওই সময় এক রুমে সাফাত, অন্য রুমে নাঈম ও সাদমান দুই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর পাশের রুম থেকে দুই তরুণীর ওই বন্ধুকে ডেকে এনের তাকে মারধর করা হয়। তাদের কথা না শোনায় তাকে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ধর্ষণের সময়ও আমি দুই বাথরুমে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করি। ’

এদিকে, সাফাত ও সাদমানের কাছ থেকে মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা পাঁচটি মোবাইল ও একটি ডিভাইসের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের কারণে ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন। জব্দ মোবাইল ও ডিভাইসের ফরেনসিক পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

এর আগে মামলার দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ গত বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অন্য আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবদুল হালিম) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি রিমান্ডে আছেন। এ ছাড়া সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।     

গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। এই অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঘটনার শিকার এক ছাত্রী।

বিডি-প্রতিদিন/২২ মে, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর