২৩ মে, ২০১৭ ২০:১০

ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ২০ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন ২০ জুন

ফাইল ছবি

মামলার তিন আসামি পলাতক থাকায় বিজ্ঞান লেখক ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। মঙ্গলবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য্য থাকলেও শুনানী শেষে আদালত আগামী ২০ জুন অভিযোগ গঠনের দিন ঠিক করেছেন বলে জানিয়েছেন পিপি মফুর আলী।

মফুর আলী জানান, গত ৮ মে মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন এবং ২৩ মে চার্জ ঘটনের দিন ঠিক করেন। কিন্তু সমন ফেরত না আসার চার্জগঠন হয়নি। আগামী ২০ জুন পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

গত বছরের ২৮ আগস্ট ৩০২ ও ৩০ ধারায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হলে পর্যবেক্ষণ আদেশে আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে সন্ত্রাসবিরোধী ধারাযুক্ত করে গত ১৮ জানুয়ারী সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী।

আগের অভিযোগপত্রে পাঁচ জনকে আসামি করা হলেও সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে উগ্রপন্থী ব্লগার সাফিউর রহমান ফারাবীর নাম। আর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ফটো সাংবাদিক ইদ্রিসসহ ১০ জনকে।

অভিযুক্তরা হলেন, সিলেটের কানাইঘাট থানার ফালজুড় গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে আবুল হোসেন ওরফে আবুল হোসাইন (২৫), খালপাড় তালবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বীরেন্দ্র নগর বাগলী গ্রামের মো. আমির উদ্দিনের ছেলে হারুণ আর রশিদ (২৫), কানাইঘাট থানার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের হাফিজ মঈনউদ্দিনের ছেলে মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহি ওরফে এবি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), ফালজুড় গ্রামের জোয়ায়াদুর রহমানের ছেলে আবুল খায়ের রশিদ আহম্মদ (২৪) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কালিশ্রীপাড়া গ্রামের মৃত ফেরদস উর রহমানের ছেলে সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। এদের মধ্যে আবুল হোসেন,ফয়সাল আহমদ ও হারুণ আর রশিদ পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ১২ মে সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারের নূরানী আবাসিক এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে অনন্ত বিজয় দাশকে (৩২)। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বস্তুবাদ ও যুক্তিবাদ নিয়ে ব্লগে লেখতেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত বিজ্ঞান-বিষয়ক বই রয়েছে। বিজ্ঞান-বিষয়ক ছোট-কাগজ 'যুক্তি' নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত সম্পাদনা করতেন তিনি। সিলেটে পরিচালিত বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলেরও  প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন অনন্ত বিজয়। ঘটনার একদিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্বেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চার দুর্বৃত্তকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।  মামলায় বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্তভার ঢাকার সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।

 

বিডি প্রতিদিন/২৩ মে ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর