শিরোনাম
২৪ মে, ২০১৭ ২৩:২৪

সাভারে মাইক্রোবাসে হাত-মুখ বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ

নাজমুল হুদা, সাভার :

সাভারে মাইক্রোবাসে হাত-মুখ বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ

সাভারে ফের মাইক্রোবাসে তুলে হাত ও মুখ বেঁধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঋণের টাকা শোধ করতে গিয়ে ওই গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওই গৃহবধূর বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে। তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকার আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় থাকেন। তার স্বামী পেশায় একজন যানবাহন শ্রমিক।
ওই গৃহবধূর চাচাতো ভাই বলেন, মানিকগঞ্জ থাকা অবস্থায় তার বোন এক দোকান থেকে কেনাকাটা করতেন। ওই দোকানে কয়েক হাজার টাকা বকেয়া ছিল। গত মঙ্গলবার তার বোন টাকা পরিশোধের জন্য মানিকগঞ্জে ওই দোকানে যান। দোকানদার তাকে মাইক্রোবাসে করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। দোকানদার পরিচিত হওয়ায় তার ওই গৃহবধূ ওই প্রস্তাবে রাজি হন। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দোকানদার তার বোনকে কালো রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে আরও দুজন ওই মাইক্রোবাসে ওঠেন। এরপর তারা তার বোনের হাত ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। রাত সাড়ে  ১১টার দিকে তারা ঢাকার সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) পাশের একটি জঙ্গলে তার বোনকে ফেলে দিয়ে চলে যান। রাতে টহলে থাকা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান তাকে উদ্ধার করে রেডিও কলোনি এলাকায় সাহারা ফিলিং স্টেশনে নিয়ে আসেন। এরপর ওই কর্মকর্তা তার মুঠোফোন থেকে ফোন দিয়ে বিষয়টি তার ভগ্নিপতিকে জানায়। এরপর ভগ্নিপতির মাধ্যমে তিনি (গৃহবধূর চাচাতো ভাই) বিষয়টি জানতে পেরে ওই ফিলিং স্টেশনে যান এবং তার বোনের মুখে ঘটনাটি শোনেন। রাত দেড় টার দিকে তিনি তার বোনকে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নিয়ে যান।
বুধবার ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, তিনি পেশাগত কারণে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার বাইরে ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার চেষ্টা চলছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমজাদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে ওসিসিতে ভর্তি পরামর্শ দেওয়া হয়।
এসআই জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে  বলেন, মহাসড়কে টহল দেওয়ার সময় রাত ১১টার দিকে বিপিএটিসির সামনে ওই গৃহবধূকে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই সময় তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে কান্না করছিলেন আর কাঁপছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহবধূ বলেন, মাইক্রোবাসে তুলে হাত-মুখ বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল মানিকগঞ্জ হওয়ায় তাদের মানিকগঞ্জ পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর