২৫ মে, ২০১৭ ১৫:৩২
জঙ্গি সারোয়ার-তামিম গ্রুপের ৪ সদস্য গ্রেফতার

ছদ্মবেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো তারা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:

ছদ্মবেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাতো তারা

নারায়ণগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১ পৃথক অভিযান চালিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া, ঢাকার কেরানিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির (সারোয়ার ও তামিম গ্রুপ) চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টা হতে বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে আদমজীতে অবস্থিত র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ক্যাম্প অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল হাসান।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা নাশকতার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন খবর পেয়ে র‌্যাবের টিম আলাদাভাবে চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বই-লিফলেট।

গ্রেফতারকৃতরা হলো বাগেরহাট জেলার শায়েখ ইউশা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইমন (২৮), রাজশাহীর আনোয়ার হোসেন, বরগুনা জেলার মাহাবুবুর রহমান নাজমুল ওরফে উকিল রেশান ও বরিশারের কাউসার শিকদার ওরফে কাউসার বিন আবদুল আলীম মাসুদ শুভ (২৫)। তাদের মধ্যে শায়েক ইউশা ও আনোয়ার হোসেনকে রূপগঞ্জের চনপাড়া, মাহাবুবকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও কাউসারকে কেরানিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন পেশায় মধু বিক্রেতা ও জেএমবির গায়েরে এহসার সদস্য। সে ২০০৪ সাল থেকে জেএমবিতে যুক্ত হয়। সে ছিল জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ। সে মূলত ২০১০ সাল থেকে মধু বিক্রি করতো ঢাকার বিভিন্ন স্থানে।

মাহাবুবুর রহমান ২০১৪ সালে জেএমবিতে যোগ দেয়। সে ইতোমধ্যে চট্রগ্রামে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছে। লাইটিং ব্যবসার আড়ালে করতো সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ।

কাউসার এলইডি বাতির ব্যবসা করে। ২ বছর আগে সে জেএমবিতে যোগ দেয়। ব্যবসার আড়ালে সে জেএমবি সদস্যদের নতুন বাসা ও মেস ঠিক করে দিয়ে সাহায্য করতো।
 

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত শায়েক আবু ইউশা মোহাম্মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োজিত ছিল। সে জেএমবি'র এহসার সদস্য ও জেলায় জেএমবির সারোয়ার তামিম গ্রুপের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। ২০১২ সালে সে বগুড়ায় ২ মাস আত্মগোপনে থেকে জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১৫ সালে টঙ্গী, গাজীপুর ও সাভার এলাকার দায়িত্ব পায়। সে মূলত টঙ্গীতে ছদ্মবেশে হারবাল ওষুধ ও মধু বিক্রি করে গার্মেন্ট শ্রমিক, রিকশাওয়ালা, হকার ও ফেরিওয়ালাদের দাওয়াত দিত।

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর