২৫ মে, ২০১৭ ১৮:০৯

'আমার কাছে বন্দুক থাকলে গুলি করতাম'

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:

'আমার কাছে বন্দুক থাকলে গুলি করতাম'

ফাইল ছবি

'শিবির ক্যাডার নাছিরের নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উল্লাস করে মিছিল করেছে ক্যাডাররা। দিনে দুপুরে খুন করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানার সামনে দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছে। আমার কাছে অবাক লাগে, আমাদের পুলিশ তাদের কোন ধরণের আক্রমণ করেনি। পুলিশ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখল। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমার কাছে বন্দুক থাকলে আমি গুলি করতাম। আজ চট্টগ্রামের আদালতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ২৫ বছর আগে নিজের চোখে দেখা চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জামায়াত-শিবিরের নৃশংসতার বর্ণনা দিতে গিয়ে এভাবে বললেন তিনি। ১৯৯২ সালের ৮ মে ঘটনার সময় তিনি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

আজ চট্টগ্রামের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস আরার আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় তখন আসামির কাঠগড়ায় শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দিন ওরফে শিবির নাছির উপস্থিত ছিলেন। এসময় মোশাররফ তাঁর গাড়ি আক্রান্ত হওয়া এবং নিজের চোখের সামনে রাজনৈতিক সহকর্মী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশর হত্যা এবং নিজের বেঁচে যাওয়ার বর্ণনা দেন আদালতে। মোশাররফের পর চাঞ্চল্যকর মামলাটির বাদি ও তার গাড়িচালক মো. ইদ্রিস মিয়া আদালতে এ প্রথম ১৫ বছর পর সাক্ষ্য দেন। একই সাথে উক্ত দু'জনকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেরাও করেন।

এসময় সরকার পক্ষে মামলার কার্যক্রমে অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী ও বিভাগীয় বিশেষ পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীসহ সরকারি আইনজীবীরা। বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক জেলা পিপি ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল হাশেম ও ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত আইনজীবী। বিভাগীয় বিশেষ পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মোশাররফ ও বাদিসহ এই পর্যন্ত মামলার সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের পর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে জানান তিনি।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর