২৭ মে, ২০১৭ ১৯:৪৯

চট্টগ্রামে রমজানে ‘৫৮টি স্পটে’ বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে রমজানে ‘৫৮টি স্পটে’ বিশেষ ট্রাফিক পুলিশ

রমজান মাসে আরো সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য চট্টগ্রাম নগরীতে যানজটের লাগাম টেনে ধরতে নগরীর উত্তর ও বন্দর জোনের ট্রাফিক বিভাগের ১৬ থানার ৫৮টি স্পটে থাকবে ট্রাফিক বিভাগের কঠোর মনিটরিং। দুই জোনের মধ্যে ট্রাফিক বিভাগের ডিসি, এডিসি, এসি ছাড়াও ১৬ জন টিআই, ১১৬ জন সার্জেন্ট, এএসআই,এটিএসআই, কনস্টেবলসহ মোট ৮’শ ৮৩ জন দায়িত্বপালন করবেন। তাছাড়া আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) থাকবেন ৫ জন। এতে সার্বক্ষিণিক মনিটরিং করবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উর্ধতন কর্মকর্তারা। একইভাবে রমজানে সার্জেন্টসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্পটে এবার ইফতারও করবেন। তবে ট্রাফিক বিভাগে লোকবল সংকটের কারণে চলতি রমজান মাসে যানজট মুক্ত করতে দায়িত্বশীলদের হিমশিম খেতে হবে বলে জানান ট্রাফিক সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া একইভাবে এ রমজান মাসে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্পটে বা মোড়ে মোড়ে এ বিশাল যানজটের দ্রুত সমাধান না হলে এটি দীর্ঘতমে পরিণত হবে বলে জানান চট্টগ্রামবাসী।

চট্টগ্রামের ডিসি ট্রাফিক (উত্তর) মো. সুজায়েত ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আজ থেকে মাসব্যাপী রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জোনসহ নগরীতে ট্রাফিক যানজট মুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। সকাল থেকে থানাসহ বিভিন্ন স্পটে টিআই, সার্জেন্টসহ ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীলরা মাঠে থাকবে। প্রতিটি স্পটে যানজট মুক্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ মোতায়েন ছাড়া নিরাপত্তা ও জনগনের আস্থা ধরে রাখার জন্য অতীতের মতো প্রতিনিয়ত মনিটরিংও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ট্রাফিক বিভাগের পৃথক দুটি জোনের মধ্যে উত্তর ও বন্দর জোনে মোট ১৬টি থানায় ৫৮টি স্পট রয়েছে। স্পটগুলোর মধ্যে উত্তর জোনের ৮টি থানার মধ্যে ৩২টি স্পটে কাজ করবেন টিআই, সার্জেন্টসহ সদস্যরা। এতে কোতোয়ালী থানায় ৭টি, বাকলিয়াতে ৩টি, খুলশীতে ৬টি, পাচঁলাইশে ৬টি, চকবাজারে ৫টি, চান্দঁগাওয়ে ২টি, বায়েজিদে ১টি, সদরঘাটে ২টি। বন্দর জোনের ৮টি থানার ২৬টি স্পটের মধ্যে আকবর শাহ থানায় ২টি স্পট, বন্দরে ৮টি, পাহাড়তলীতে ৪টি, ডবলমুরিং এ ৫টি, পতেঙ্গায় ২টি, ইপিজেটে ২টি, হালিশহরে ২টি এবং কর্ণফূলী থানায় ১টি স্পট রয়েছে। প্রতিটি থানায় একজন করে টিআইদের মনিটরিং ও সার্জেন্টরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি এলাকায় থাকবে মার্কেটগুলোর মনিটরিং, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং যাতে করতে না পারে সেই বিষয়েও নজরদারি রাখবে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীলরা।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর