রাজধানীর পল্লবীতে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

রবিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রাজীব হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল মামলার ১৬৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।

এরপর গত ২ এপ্রিল রাজীব হত্যার দায়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিচারিক আদালতের পুরো রায়ের সঙ্গেই একমত হয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে মোহাম্মদ মাকসুদুল হাসান অনিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজের দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রয়েছে। একইসঙ্গে বহাল রয়েছে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ডের আদেশও।

এছাড়া আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানির ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং আসামি সাদমান ইয়াছির মাহমুদের ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডও বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফয়সালসহ সাতজনের আপিল ও জেল আপিল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গ্রেফতারের পর মামলাটি বাতিল চেয়ে রানার করা আপিলও খারিজ করেন।

একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পাওয়া আসামিদের শাস্তি বৃদ্ধি চেয়ে ব্লগার রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিনের করা ক্রিমিনাল রিভিশন (শাস্তি পুনর্বিবেচনা) আবেদনটিও খারিজ হয়ে গেছে।

২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীতে তার বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে। ওই ঘটনায় রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিডি-প্রতিদিন/২৮ মে, ২০১৭/মাহবুব