৩০ মে, ২০১৭ ১৭:৪৬

চট্টগ্রামে 'মোরা' অতিক্রম করলেও কাটেনি আতঙ্ক

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে 'মোরা' অতিক্রম করলেও কাটেনি আতঙ্ক

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় উপজেলাসমূহে মোরা'র প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে কোথাও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবুও ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ৭ উপজেলার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ২০ হাজার ৫২০ জন এলাকাবাসী আশ্রয় নিয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে কন্ট্রোল রুমগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ সড়কই ছিল যানবাহন শূন্য। জিইসির মোড়, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, হালিশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টানা আটঘণ্টা সব ধরণের ফ্লাইট উঠানামা বন্ধ রাখা হয়। তবে আজ দুপুর দুইটা থেকে ফ্লাইট উঠা-নামা শুরু হয়। এয়ারপোর্ট ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দুইটার পর থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। চবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. কামরুল হুদা বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। মাইকিং করে এ ব্যাপারে ক্যাম্পাসে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর