২০ জুলাই, ২০১৭ ২০:০৬

মাদক স্পট, মাদক বিক্রেতা, জুয়ার আসরের তালিকা তৈরি করেছে সিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মাদক স্পট, মাদক বিক্রেতা, জুয়ার আসরের তালিকা তৈরি করেছে সিএমপি

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নগরের ১৬ থানাভিত্তিক মাদক স্পট, মাদক বিক্রেতা, জুয়ার আসর এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হয় এমন স্পটের তালিকা তৈরি করেছে। প্রণীত তালিকা মতে ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) প্রয়োজনীয় কার্যকর উদ্যোগ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

গত ১৩ জুলাই সিএমপির মাসিক অপরাধ সভায় প্রত্যেক থানার ওসিকে নিজ নিজ এলাকার তালিকা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চারটি জোনভিত্তিক পৃথক একটি তালিকা নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। সিএমপির তালিকা অনুযায়ী নগরের মাদক স্পট আছে ৪৭৫টি, মাদক বিক্রেতা ৫৩০ জন, জুয়ার আসর আছে ৩২টি এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হয় ৪২টি স্পটে।
    
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মো. তানভীর  বলেন, "মাদক ও জুয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধ আমরা কঠোর ও কঠিন অবস্থান নিয়েছি। প্রত্যেক থানার ওসিদের বলা হয়েছে- মাদক, জুয়ার স্পট এবং অসামাজিক কার্যকলাপের স্থানগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে।" 

তিনি আরও বলেন, "ওসিদের কার্যক্রম আমরা মনিটরিং করবো। তাদের পারফরম্যান্স প্রতি সপ্তাহে রিভিউ হবে। এর উপর ভিত্তি করে ওসিদের দক্ষতা মূল্যায়ন হবে। পারফরম্যান্স খারাপ হলে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
    
সিএমপি সূত্রে জানা যায়, সিএমপির তালিকা অনুযায়ী নগরীতে সবচেয়ে বেশি মাদকের আসর আছে কোতয়ালী থানায়। মাদক স্পটের সংখ্যা ১৩৫টি, জুয়ার আসর একটি ও অসামাজিক কাজের স্পট দুইটি। দক্ষিণ জোনের অধীন সদরঘাট থানায় আছে মাদকের ১৬ স্পট ও তিনটি জুয়ার আসর। চকবাজার থানায় চারটি মাদক স্পট ও একটি অসামাজিক কাজ হয় এমন স্পট আছে। বাকলিয়া থানায় ৮টি স্পটে নিয়মিত মদ, গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি হয়। 
 
উত্তর জোনের অধীনে খুলশী থানা এলাকায় মাদকের আসর আছে ৩২টি। নগরীতে সবচেয়ে বেশি অসামাজিক কাজ হয় খুলশী থানা এলাকায়। এখানে ১৩টি গেস্ট হাউজ ও হোটেলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চান্দগাঁও থানায় ২৯টি স্পটে চলে মাদক বিক্রি। নিয়মিত জুয়ার আসর বসে তিনটি স্পটে। 
বায়েজিদ বোস্তামি থানায় ২৬টি স্পটে মাদকের ব্যবসা, ১টি স্পটে জুয়া এবং ১টি স্পটে অসামাজিক কাজ হয়। পাঁচলাইশ থানায় ১৮টি স্পটে নিয়মিত মদ-ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি হয়। পশ্চিম জোনের ডবলমুরিং থানায় ১৬টি স্পটে মাদক বিক্রি, ১টি স্পটে জুয়ার আসর বসে। চারটি স্পটে চলে অসামাজিক কাজ। হালিশহর থানায় ১৭টি স্পটে মাদক বিক্রি, ৭টি স্পটে জুয়া এবং ৮টি স্পটে অসামাজিক কাজ হয়। 

পাহাড়তলী থানায় ২৪টি মাদক স্পট, ৪টি জুয়ার আসর আছে। ৬টি স্পটে অসামাজিক কাজ হয়। বন্দর জোনের পতেঙ্গা থানায়  সবচেয়ে বেশি মাদকের স্পট আছে।পতেঙ্গায় ৫৫টি স্পটে নিয়মিত মদ-গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি হয়। ২টি স্পটে জুয়ার আসর ও চারটি স্পটে অসামাজিক কাজ হয়। 

কর্ণফুলী থানায় ২৮টি স্পটে মাদক বিক্রি, একটি স্পটে জুয়া ও একটি স্পটে অসামাজিক কাজ হয়। ইপিজেড থানায় ১২টি স্পটে মাদক বিক্রি, ৬টি স্পটে জুয়া এবং ২টি স্পটে অসামাজিক কাজ হয়। বন্দর থানা এলাকায় ২৯টি স্পটে মাদক বিক্রি ও তিনটি স্পটে জুয়ার আসর বসে।   
 


বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৪

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর