২৪ জুলাই, ২০১৭ ১৭:২৫

খুলনার রাজপথ এখন মরণফাঁদ!

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা:

খুলনার রাজপথ এখন মরণফাঁদ!

খুলনা মহানগরীর রয়্যাল মোড় হতে রূপসা ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত ব্যস্ততম সড়ক। পানির পাইপ বসানোর জন্য ওয়াসার খোঁড়াখুড়ির পর দুর্ভোগ কমাতে এখানে সাময়িকভাবে হেরিংবন্ড (ইট বিছানো) করে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে ইট ও খোয়া উঠে সেখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। পথ চলতে রিক্সা-ভ্যান, ইজিবাইক উল্টে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
খুলনার খানজাহান আলী রোডর শুধু এই অংশটি নয়, রূপসা স্ট্যান্ড থেকে শিপইয়ার্ড সড়ক, শামছুর রহমান রোড, শান্তিধাম, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, পিটিআই মোড়, শেরে বাংলা রোড, পাওয়ার হাউজ মোড়, টুটপাড়া, শিববাড়ি মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক-অলিগলিতে এখন অসংখ্য খানাখন্দে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, নগরবাসীর জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করার লক্ষ্যে খুলনা ওয়াসা নগরীতে প্রায় ৫২৫ কিলোমিটার পাইপ বসানোর কাজ করেছে। রাস্তা কেটে বড় ব্যাসের পাইপ বসানো হয়েছে। কিছু এলাকায় নির্দিষ্ট দূরত্বে গর্ত করে সড়কের নিচ থেকে পানির পাইপ নেওয়া হয়েছে। আগাম বৃষ্টির কারণে এসব গর্ত ও সড়কের অনেকাংশে পুনরায় কার্পেটিং করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া সিটি করপোরেশনও দীর্ঘদিন সড়কে বড় ধরনের সংস্কার কাজ করেনি। ফলে সড়ক জুড়ে তৈরি হওয়া গর্তে বিপদজনক অবস্থার তৈরি হয়েছে।
নগরীর রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা সুষমা বালা জানান, সড়কে চলতে গেলে এখন সারাক্ষণ আতংকের মধ্যে থাকতে হয়। যখন তখন গর্তে পড়ে রিক্সা বা ইজিবাইক উল্টে দুর্ঘটনায় পড়ছে। এতে শারীরিকভাবে আহত হচ্ছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
সামাজিক সংগঠন জন উদ্যোগ এর সভাপতি অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা ও অপরিকল্পিত খোঁড়াখুড়ির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ, লাঠি, লাল পতাকা দিয়ে বড় গর্তগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, জন দুর্ভোগ কমাতে সড়কের কিছু অংশে হেরিং বন্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি কমার সাথে সাথে কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করা হবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, অতিবৃষ্টিতে নগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সড়কের ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে এই দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে দাতা সংস্থার সহায়তায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর