২৪ জুলাই, ২০১৭ ১৮:৫২

২০২১ সালের আগেই প্রয়োজনের বেশি যন্ত্রপাতি থাকবে বন্দরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

২০২১ সালের আগেই প্রয়োজনের বেশি যন্ত্রপাতি থাকবে বন্দরে

আগামী ২০২১ সালের আগেই চট্টগ্রাম বন্দরের যন্ত্রপাতির সকল সংকট নিরসন হবে। তখন প্রয়োজনের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি যন্ত্রপাতি বন্দরে মজুদ থাকবে। আজ চট্টগ্রাম বন্দর ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বন্দরের মাধ্যমে আমদানী-রফতানী কার্যক্রম সহজীকরণ এবং ২৪ ঘন্টা বন্দর কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ এম এ লতিফ বলেন, বন্দরের সংকট কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে। ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগুলো উপলদ্ধি করতে হবে। স্বাধীনতার পর মাত্র সাতটি জেটি হয়েছে। অথচ বন্দরে জেটি থাকার কথা ছিল ৭০টি। এছাড়া কাস্টমস এ জনবল বাড়েনি। নতুন করে টার্মিনাল ও প্রয়োজনীয় জেটি নির্মাণ হয়নি। তাই জাহাজ ও কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়েছে। ওভার ফ্লো ইয়ার্ড তৈরি করতে পারলে কিছুটা হলেও রপ্তানিকারকেরা সুবিধা পাবে।

বন্দরের জন্য ছয়টি কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার কথা জানিয়ে নৌ পরিবহণ সচিব বলেন, বর্তমানে দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন অচল থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তাই কোন যন্ত্র নষ্ট হলে যাতে তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ২০১৯ সালের মধ্যে লক্ষ পূরণে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

মেট্টোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, বন্দরের পরিবর্তে বেসরকারি ডিপোতে এখন ৩৭ ধরনের পণ্য খালাস বাধ্যতামূলক। বন্দরের ভেতরে কন্টেইনার জট কমাতে এ সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। কাস্টমসের স্ক্যানার সংখ্যা বাড়াতে হবে।

বিজিএমইএ’র বন্দর ও জাহাজীকরণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জেটি, ইয়ার্ড ও যন্ত্রপাতি- এই তিনটি অবকাঠামো যদি বছরের পর বছর রিভিউ করা না হয় তাহলে আগামীতে পোশাক খাত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাবে। তাই এ তিন অবকাঠামোতে নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

বন্দর চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম. খালেদ ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। এ জন্যে বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সামগ্রীক অর্থনীতির উন্নয়নে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, বন্দরে সক্ষমতা বেড়েছে। অর্থনীতির চাকাকে আরো গতিশীল করতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর