২৭ জুলাই, ২০১৭ ২১:৫১

রাসিক মেয়রের সভায় মারামারি, আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

রাসিক মেয়রের সভায় মারামারি, আহত ৬

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভায় কাউন্সিলর ও কর্মচারীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারী কাউন্সিলরসহ উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে নগর ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে।

অস্থায়ী কর্মচারীদের চলমান ১১ দফা আন্দোলনের জের ধরে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজন মেয়রের পক্ষের এবং অন্য তিনজন কর্মচারী ইউনিয়নের। মেয়র পক্ষের আহতরা হলেন- মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. টুটুল, রাসিকের ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নুরুন্নাহার বেগম এবং ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মুসলিমা বেগম বেলী।

কর্মচারী ইউনিয়নের আহতরা হলেন- সংগঠনটির উপদেষ্টা সুমন হোসেন ও জালাল উদ্দিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম লাবু। এদের সবাইকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে মেয়র পক্ষের আহত তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

কর্মচারী ইউনিয়নের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বিকেলে মেয়র বুলবুল নগর ভবনের নিচতলায় নিজের অনুসারী কাউন্সিলর ও স্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। ওই মতবিনিময় সভাতেই মারামারির শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে মেয়র বুলবুল রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নকে বাতিল ঘোষণা করেন।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আমি স্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলাম। এতেই শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা হামলা চালান।’ এ হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলেও দাবি করেন মেয়র।

তবে রাসিকের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুন বলেছেন, ওই সভায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল হামিদ সরকার টেকন আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ‘জঙ্গির’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন, কর্মচারীদের এ আন্দোলন জঙ্গিদের মতো। তার এ কথারই প্রতিবাদ করেছিলেন ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম লাবু। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর টেকনসহ মেয়রের অনুসারী অন্য কাউন্সিলর ও কর্মচারীরা অস্থায়ী কর্মচারীদের মারপিট শুরু করেন। এতে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

কাউন্সিলর টেকনের ওই বক্তব্যে সত্যতা স্বীকার করেছেন মেয়রপন্থী নারী কাউন্সিলর হিসেবে পরিচিত নুরুন্নাহার বেগম। তবে বার বার চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে টেকনের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, নগর ভবনের মারামারির খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে উত্তেজনা থাকায় এখনও সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর