১৭ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:৪৭

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু, একজনকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু, একজনকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত

চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু এবং একজনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

গত বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার পৃথক সময়ে এসব ঘটনা ঘটে।  

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগী স্কুলের সামনে অটোরিকশার ধাক্কায় মো. ফয়সাল (৮) নামে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফয়সাল একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক বিজয় চাকমা বলেন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অটোরিকশার ধাক্কায় এক শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ফটিকছড়ির বিবিরহাট এলাকায় চলন্ত বাসের ছাদ থেকে পড়ে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নজরুল ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার কোটেরহাটের সিকদার বাড়ির দুলা মিয়ার ছেলে।

চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, গাউছিয়া মার্কেটের সামনে চট্টগ্রামগামী একটি বাসের ছাদ থেকে পড়ে নরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, নগরীর বন্দর থানার বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকায় অতিরিক্ত মদপানে বিধান চৌধুরী (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বিধান নগরীর বন্দর থানার গোসাইলডাঙ্গা এলাকার কৃষ্ণপদ চৌধুরীর ছেলে। বন্দর থানার এসআই মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘টহল পুলিশ বারিক বিল্ডিং মোড়ে এক যুবককে অতিরিক্ত মদপান করে মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

এদিকে, নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ’র ১৮ নম্বর সড়কে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আল আমিন (১৭) নামে এক তরুণকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। গুরুতর আহত আল আমিনকে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়েলিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- সানজিদ আহমেদ (১৮) প্রকাশ মাহি, মো. লিটন (২০), মো. সানজিদ (২৬), মো. ইমতিয়াজ (১৬), হামিদুর রহমান টুটুল (১৬) ও মো. ইয়াছিন (১৮)।

আল আমিনের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মিন্টু নামে আমার ছেলের এক বন্ধুকে দিয়ে রাত ৮টার দিকে তাকে ডেকে বাসা থেকে বের করা হয়। পরে স্থানীয় সানজিদ, তারেকসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে ধামা, কিরিচ ও ছুরি দিয়ে আমার ছেলের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। আল আমিনের পেটে ছুরিকাঘাত, কোমর ও দুই উরুতে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

ডবলমুরিং থানার ওয়ারলেস অপারেটর রাজিবুল আলম বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর