১৮ আগস্ট, ২০১৭ ১৯:৫৪

আমি নন্দিত নই, সাধারণ নাগরিক: আ জ ম নাছির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আমি নন্দিত নই, সাধারণ নাগরিক: আ জ ম নাছির

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমি এই নগরীর নন্দিত নাগরিক নই। আমি নিজেকে নন্দিত নাগরিক মনে করি না। আমি একজন সাধারণ নাগরিক। সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই।

শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত 'নান্দনিক চট্টগ্রামে নন্দিত নাগরিক' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

আ জ ম নাছির বলেন, যানজট নিরসনের নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় এয়ারপোর্ট রোড সম্প্রসারণ করা হবে। তাছাড়া গণপরিবহন শৃঙ্খলায় আনা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা না করা, লেন করাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সিটি মেয়র বলেন, নিখুঁত পরিকল্পনা না করে তাড়াহুড়ো করে বাস্তবায়ন করলে বুমেরাং হয়ে যায়। চসিকে দক্ষ ও প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। অর্গানোগ্রাম নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় অর্থ ও জনবলের সীমাবদ্ধতা ছিল। দুই বছরের মধ্যে একটি পর্যায়ে এনেছি। এ বছর থেকে অনেক কিছু দৃশ্যমান হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে পুরো শহরকে এলইডি লাইটিংয়ের আওতায় আনব। ডোর টু ডোর কার্যক্রমকে শতভাগে উন্নীত করব।

সিটি মেয়র বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফুটপাত হকারমুক্ত করার টার্গেট করেছি। ২ সেপ্টেম্বর কোরবানির ছুটি শুরু হচ্ছে। এরপরই হকারদের রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে। ফুটপাতের নির্দিষ্ট একটি অংশ রং দিয়ে মার্কিং করে দেব। সেখানে কাপড় বিছিয়ে হকাররা বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ণ্যসামগ্রী বিক্রি করবেন। তাদের ছবিসহ আইডি কার্ড দেব। ইতিমধ্যে চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে হকারদের জরিপ করেছি। ভিডিও করেছি। হকার সমিতি থেকে তালিকা নিয়েছি। কাউন্সেলিং করেছি। সব স্টিল স্ট্রাকচার তুলে ফেলা হবে। রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আমরা অভিন্ন ছাতা দেব।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মেয়র বলেন, যাত্রী তোলার জন্য প্রতিটি মোড়ে গণপরিবহনগুলো এলোমেলো, আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। নিজেদের মধ্যে আনহেলদি কম্পিটিশন করছে। এতে গাড়ির লাইন পড়ছে। হর্ণ দিলেও চুল পরিমাণ নড়ে না। এ অবস্থায় সব গণপরিবহন মালিকদের একই ম্যানেজমেন্টের আওতায় আনা হলে আনহেলদি কম্পিটিশন থাকবে না। চালক-শ্রমিকদের মজুরি, জ্বালানি, আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে ম্যানেজমেন্ট গণপরিবহন  মালিকদের সিট অনুযায়ী লাভের অর্থ বণ্টন করতে পারে। পরিবহন মালিকদের আমরা এ প্রস্তাব দিয়েছি। এতে নগরবাসী উপকৃত হবে।

কর আদায় প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, দেশের সব সিটি কর্পোরেশন এক আইনে পরিচালিত হচ্ছে। হোল্ডিং ট্যাক্স বলা হলেও এর মধ্যে গৃহকর, পরিচ্ছন্ন রেইট, আলোকায়ন রেইট মিলে ১৭ শতাংশ নিচ্ছি। রিট খারিজ হওয়ায় কর নিয়ে আর বাধা নেই।

প্রেসক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (সিইউজে) রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চিটাগাং টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি স্বপন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/১৮ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর