২০ আগস্ট, ২০১৭ ১৬:৪৪

সিলেটে দুই বোন ধর্ষণ: পাঁচজনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে দুই বোন ধর্ষণ: পাঁচজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

সিলেটের বিয়ানীবাজারে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের বেঁধে দুই বোনকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলার জালালপুর গ্রামের মৃত মখদ্দছ আলীর ছেলে জয়নুল ইসলাম, একই এলাকার আবদুল বাছিত, হাসান আহমদ হাসনু, পূর্ব পইলগ্রামের কালাম আহমদ, কানাইঘাটের বড়দেশ গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে সেলিম আহমদ। এছাড়া খায়রুল ইসলাম মাতুয়া নামের অপর এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। 

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ধর্ষিতা দুইবোনকে প্রদানেরও নির্দেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি ফখরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ২৫ মে ভোর রাতে বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের হাজরাপাড়ার এক চানাচুর বিক্রেতার ঘরে সিঁদকেটে ভেতের ঢুকে ধর্ষকরা। পরে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই চানাচুর বিক্রেতার সদ্য এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ দুই মেয়েকে ধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় পরদিন তাদের বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের (জিআর ১০৩/১৪) করেন। 

এরপর ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর বিয়ানীবাজার থানার তৎকালীন ওসি আবুল কালাম আজাদ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অপর এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাম প্রদান করা হয়। এদিকে, মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী আয়েশা বেগম শেলী বলেন, মামলা চলাকালে আদালতের কাছে অভিযুক্তদের ডিএনএ টেস্টের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে আবেদন করে ডিএনএ টেস্ট করাতে দেননি। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া ঘোষিত এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায় বিচার পেতে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।

বিডি প্রতিদিন/২০ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর