২২ আগস্ট, ২০১৭ ১৩:৫৬

বৃত্তি জালিয়াতির মামলায় শিক্ষা কর্মকর্তা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:

বৃত্তি জালিয়াতির মামলায় শিক্ষা কর্মকর্তা কারাগারে

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনির বৃত্তি নিয়ে জালিয়াতির মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে রাজশাহীর সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাবুুবুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা পুলিশ লাইনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে সোমবার সকালে তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করা হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপর দুদকের এই কর্মকর্তাই আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় তদন্তে বৃত্তি জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় আবুল কাশেম এখন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন।

দুদকের উপ-পরিচালক শেখ ফাইয়াজ আলম জানান, ২০১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে তাদের বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে। এনিয়ে অভিভাবকরা আন্দোলনে নামেন। সংবাদপত্রে ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে বিষয়টি নিয়ে তিনি তদন্ত শুরু করেন তারা। তদন্তে তাদের কাছে অভিযোগটি সত্য মনে হয়েছে। এ জন্য সোমবার সকালে নগরীর রাজপাড়া থানায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আবুল কাশেমকে রাজপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমের বাড়ি নগরীর ভদ্রা এলাকায়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকের বৃত্তিতে ফল জালিয়াতির অভিযোগটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরও তদন্ত করেছে। সেখানেও এই জালিয়াতি ধরা পড়েছে। পরে ওই ৪০ শিক্ষার্থীর বৃত্তি বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে এ জালিয়াতির ঘটনায় আবুল কাশেমসহ তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। এরপর আবুল কাশেমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে তাকে চট্টগ্রামে সংযুক্ত করা আছে।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর