দিগন্তবিস্তৃত পানি। তার মধ্যে গলা উঁচিয়ে আছে মানুষ, তারও চেয়ে উঁচুতে নিজের সন্তান আর প্রিয় গৃহপালিত পশুটিকে ধরে। এই ভালোবাসা শুধু মানুষের পক্ষেই সম্ভব। এভাবেই মানুষের বিপদে এগিয়ে আসে মানুষ, করুণ দৃশ্যগুলোও হয়ে ওঠে স্বর্গীয়।
বন্যার এই মহাবিপজ্জনক সময়ে কয়েকজন তরুণের উদ্যোগে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বইমেলা। মেলায় বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ বন্যার্তদের মাঝে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টায় পর্যন্ত শাহবাগে চলবে এই বইমেলা। এই আয়োজনে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
লেখক-প্রকাশক-পাঠকদের মধ্যে আয়োজক হলেন- জগলুল হায়দার, আশরাফ জুয়েল, রাসেল রায়হান, জব্বার আল নাঈম, কাদের বাবু, মামুন সারওয়ার।আয়োজকরা জানান, মানুষ মানুষের জন্য, তাই বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকতে চাই। বন্যার সময় তারা যে বিপদে ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি বিপদে পড়বেন এখন। কেননা কারো ঘর নেই, কারো খাবার নেই। কারো জমির ফসল ডুবে গেছে। কারো গরু-ছাগল মরে গেছে। এসব মানুষের পাশে থাকতেই বইমেলার আয়োজন। আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজনের মাধ্যমে যদি কিছু পরিবার মাথা গোঁজার মতো অবস্থান করতে পারে তা হবে সবার আনন্দের বিষয়।
বইমেলা আয়োজন করে বিক্রয়লব্ধ পুরো অর্থ সাধারণের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই। সেই সাথে বইয়ের প্রতি উৎসাহী করে তোলাও আমাদের লক্ষ্য।
ইতিমধ্যে আহ্বানে সাড়া দিয়ে বন্যার্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বেশ কিছু লেখক ও প্রকাশনী। প্রকাশনীগুলো হলো- ঐতিহ্য, বিশ্বসাহিত্য ভবন, বাবুই, দেশ পাবলিকেশন, বাঙালি, অমর প্রকাশনী, সিদ্দিকীয়া পাবলিকেশন্স, পঙ্খিরাজ, পরিবার পাবলিকেশন্স, ইনভেলাপ, কালো, ছায়াবীথি, জেব্রাক্রসিং, তৃতীয় চোখ, পূর্বপশ্চিম, লাটাই, ছড়া আনন্দ।
বই কেনার পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আপনিও বন্যার্তদের পাশে থাকতে পারেন। টাকা পাঠাতে পারেন...বিকাশ নম্বর: ০১৮১৬১৫৯৩২৬, ০১৬১৫৩৩১০৯৮, ০১৯১১১৩১২৮১, ০১৯৪৫৫৯৯৯১৩ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট: ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, মো. আবদুল কাদের ১০৫-১০১-৮৩৩৭২ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, জব্বার আল নাঈম ০২০০০০৮৯৪০২৫৪।
বিডি প্রতিদিন/২৩ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত
