বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাভার থেকে আশুলিয়ায় এটি পরিত্যক্ত গুদাম ঘরে নিয়ে এক পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর মেয়েটিকে ৫০০ টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটি। অবশেষে শুক্রবার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে পুলিশ সাভার পৌর এলাকার বিনোদবাইদ মহল্লার ভাড়া বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। 

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তিনজনে মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে। তবে ধর্ষণের সময় তাকে নিয়ে যাওয়া ছেলেটি উপস্থিত ছিল না।

তিনি আরও বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সাভার থানা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আমজাদুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মেয়েটি মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ঘটনাটি যেহেতু গণধর্ষণ তাই পুলিশের সহায়তায় তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিককে ধর্ষণের বিষয়ে আমার কাছে আসলে আমি ওই মেয়ের কাছে ঘটনাটি শুনি। এরপর আমি পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশও আমার কার্যালয়ে আসে। মেয়েটির পরিবারের সাথে কথা বলেছি; তারা মামলা করবে না বলে জানায়। তাই ৫০০ টাকা দিয়ে মেয়েটিকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেছি। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে  বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই মেয়ে নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের ধরতে বিভিন্ন এলাকার অভিযান চালানো হচ্ছে। 

বিডি-প্রতিদিন/২৬ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব