শিরোনাম
১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ২২:৩৯

গৃহকরের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

গৃহকরের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) গৃহকর বাড়ানো নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা। কিছুদিন আগে নগর আওয়ামী লীগ ও সাবেক কাউন্সিলর ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারেও এসব বিষয়ে বিবৃতি ও চিঠি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। সাবেক মেয়র মনজুর আলমও গৃহকরের বিষয়ে নমনীয় হওয়ার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে। তবে গৃহকরের এক মাসের আল্টিমেটাম শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন  চৌধুরী।

মঙ্গলবার মেয়ের নবম মৃত্যু বার্ষিকীতে নিজ বাসায় মেজবানের আয়োজন করেন মহিউদ্দিন। বাসায় সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বললেও কিছুটা চুপ নিলেন তিনি। এর আগে ২০০৮ সালের ১৭ ‍অক্টোবর মহিউদ্দিনের মেয়ে ফৌজিয়া সুলতানা টুম্পা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মহিউদ্দিন চৌধুরী তিনি বলেন, সোমবার ১৪ দলের সভা করেছি। সেখানে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছি। দেখি কী হয়! তারপর একটা কিছু করব। তিনি বলেন, গৃহকর নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের বিষয়ে কিছুই জানি না। কে বৈঠক ডেকেছেন? কারা বৈঠক করবেন? আমাকে-তো কিছুই জানানো হয়নি। আমি বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানি না।

টুম্পার বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, তার নামে দুইটা স্কলারশিপ চালু আছে। আর কিছু করিনি। বুড়ো হয়ে গেছি। বাপ হিসেবে মেয়ের নামে মেজবানের আয়োজন করেছি। ছয়টা গরু কেটেছি। এর বেশি আর কি করতে পারব। আমি তো বুড়ো বাপ।

চট্টগ্রাম কলেজ-মহসিন কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, গুণ্ডাপাণ্ডা সব ছাত্রলীগ হয়ে গেছে। খালি মারামারি করে। ওরা ভেবেছে আমি বুড়ো হয়ে গেছি। সেজন্য আমাকে গুঁতা দিচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, এ অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পুলিশ কর্মকর্তারা অংশ নেন। কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভানেত্রী সাফিয়া খাতুনসহ কয়েকজন নেত্রীও মহিউদ্দিনের বাসায় আসেন।

জানা যায়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী টুম্পা যখন মারা যান তখন ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী জরুরি অবস্থা চলছিল। বাবা মহিউদ্দিন ছিলেন কারাগারে। দুঃসহ সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে প্রায়ই স্মৃতিকাতর হন মহিউদ্দিন। কারাগারে পাঠানো টুম্পার চিঠি পড়ে একটি অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।

টুম্পার বড় ভাই মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। টুম্পার মা হাসিনা মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) সভাপতি।

বিডি-প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর