শিরোনাম
১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১৫:৩৮

চট্টগ্রামে চাঙ্গা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

শীর্ষ নেতাদের নিয়েই হচ্ছে কমিটি

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে চাঙ্গা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব আসছে খুব সহসা। সাংগঠনিকভাবে রাজনীতির মাঠকে আরো শক্তিশালী করতে সাবেক ছাত্রনেতা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়েই দ্রুত সময়ের মধ্যে হচ্ছে চট্টগ্রামের কমিটি। এসব নিয়ে চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনাও।

দীর্ঘদিন পর খুব সহসা ঘোষণা আসতে পারে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির। ইতিমধ্যে দক্ষিণ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেই কমিটিরও পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা করার প্রক্রিয়া চলছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠন ও নেতা-কর্মীদের আরো শক্তিশালী করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড সূত্রে জানা গেছে। তাছাড়া এ কমিটিগুলো ঘোষণার জন্য তৃণমূলের নেতারাও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বসে আছেন বলে জানান তৃণমূলের নেতারা।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শেখ সোহেল রানা টিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংগঠনকে আরো শক্তিশালী এবং গতিশীল করতে খুব সহসা নগর ও উত্তর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে। তাছাড়া দক্ষিণ জেলার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিকভাবে ত্যাগ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে শীর্ষ নেতাদের সাথেও আলোচনা করা হবে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতাদের সাথে বসেই গঠনতান্ত্রিকভাবেই কমিটি করা হবে।

চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিনহাজুল আবেদীন সায়েম ক্ষোভের সাথে বলেন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের দীর্ঘবছর ধরেই কমিটি নেই। আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলছে ১৫ বছর। নতুন কমিটি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব সংকট এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমও শক্তিশালী হচ্ছে না। এতে দ্রুত কমিটি না হলে চট্টগ্রামে নেতা তৈরি করতে হিমশিম খেতে হবে।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আনোয়ার আজম বলেন, নতুন নেতৃত্ব তৈরির জন্য সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত কমিটি করতে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করা হয়েছে। তবে দ্রুত নতুন কমিটির ঘোষণা হলে সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আরও শক্তিশালী হিসেবে কাজ করতে পারবে।

দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও নিয়মিত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই কমিটি না হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণের পৃথক সাংগঠনিক কাঠামো থাকলেও কমিটির কারণে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে হতাশায় আছেন তৃণমূলের নেতারাও। নগরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই ১৫ বছর পার করেছে ও উত্তর জেলার কমিটির মেয়াদ শেষে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিরও মেয়াদ শেষ হয়েছে। দক্ষিণ জেলায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি দীর্ঘ এক বছরেও।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগর কমিটির ২১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ও আহবায়ক কমিটির নেতাদের নেই কোন ধরনের তৎপরতাও। এ অবস্থায় তিন মাসের আহবায়ক কমিটির পার হয়েছে ১৫ বছর ৮ মাস। ২১ সদস্যের এ কমিটিতে কয়েকজন ছাড়া সবাই রয়েছে নিস্ক্রিয়।

দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি এক বছরেও। উত্তরে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। সবমিলে দেখা দিয়েছে কমিটিগুলোর নানান জটিলতাও। তাছাড়া নগর কমিটি গঠনের ব্যাপারে কোন ধরনের উদ্যোগ না থাকায় নগরীর ওয়ার্ড-থানা কমিটি নেই দীর্ঘ বছরেও।

একইভাবে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটির অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে দ্রুত কমিটি গঠন হলে সাংগঠনিক তৎপরতা ও নেতৃত্ব তৈরি করার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানান তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মী। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি না থাকায় নামে মাত্র গত ২৭ জুলাই  তিনটি পৃথকভাবে এ সংগঠনের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/১৯ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর